শিবগঞ্জ পৌর নির্বাচন > বিএনপি-জামায়াত ‘ঘাঁটিতে’ দুইভাগ আওয়ামীলীগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার গত পাঁচবারের নির্বাচনে কোনোবারই জিততে পারেনি আওয়ামীলীগ। চারবার বিএনপির নেতা ও একবার জামায়াতের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। শিবগঞ্জে আওয়ামীলীগের এই ‘ভঙ্গুর’ অবস্থানে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। আর বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্বে। অনেকটা এমপি এমপি মনোমালিন্যে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের বাইরে দুই বিদ্রোহীর মধ্যে একজন সরে দাঁড়িয়েছে। তবে মূল বিদ্রোহী নির্বাচন করার প্রত্যয়ে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছেন।  

সর্বশেষ শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থন নিয়ে জিতেছেন শামিম কবির হেলিম। বর্তমানে মামলাজনিত কারণে দায়িত্ব থেকে তাকে বরাখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা ঈমানী আলী। নম্বয়ের দশকে বিএনপির শাসনামলে শিবগঞ্জ পৌরসভা গঠনের পর প্রথম নির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা মোতাহেরুল ইসলাম ঘেটু। পরে চেয়্যারম্যান পদটি দখলে নেয় জামায়াত নেতা জাফর আলী। এরপর নির্বাচনে জিতেছেন শামিম কবির হেলিম। তিনি চলতি মেয়াদসহ দুইবার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আওয়ামীলীগের অবস্থা: শিবগঞ্জ পৌরসভায় শুরু থেকেই আওয়ামীলীগ ভাল অবস্থান দাঁড় করাতে পারেনি। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে দলটি। শিবগঞ্জ পৌরসভায় ভোটের অঙ্কে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা আওয়ামীলীগ থেকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী আবির্ভূত হয়েছে। তাও একজন নয়, দুইজন। অবশ্য বিদ্রোহীতে দুই নম্বর সারিতে থাকা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র ঈমানী আলী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এরপরও আওয়ামীলীগের প্রার্থী থাকছেন দুইজন। দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ঠিকাদার ময়েন খান। বিদ্রোহী হিসাবে মাঠে আছেন শিবগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কারিবুল হক রাজিন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, শিবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মউনুদ্দিন মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এমপির অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল বেশি কিছুদিন থেকেই। রাজিন সংসদ গোলাম রাব্বানী আস্থাভাজন হওয়ায় দ্বন্দ্বের বহি:প্রকাশ হিসাবে রাজনকে বাদ দিয়ে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মইন খান। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম টুটুল খানের সমর্থন নিয়ে মইন খানকে কেন্দ্রে একক প্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করা হয়। জেলার সুপারিশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র মইন খানের হাতেই তুলে দেন নৌকা প্রতীক। যদিও জেলা আওয়ামীলীগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের হাওয়া শুরুর সময় মেয়র পদে প্রার্থী হতে তৎপরতা শুরু করেন গত নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে মেয়র প্রার্থী কারিবুল হক রাজিন ও শিবগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম টুটুল খান, ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইমানী আলী ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া। গত ৮ নভেম্বর শিবগঞ্জ আসনের সাংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর কানসাটস্থ বাড়ির সামনে শেখ রাসেল মিলনায়তনে ‘তৃণমূলের’ এক সভায় কারিবুল হক রাজিনকে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মেয়র পদে সমর্থন জানানো হয়। ঐ সভা চলমান অবস্থায় সভা আহ্বানকারী টুটুল খান সভা বর্জন করে অনুসারীদের নিয়ে চলে আসেন। তার চলে আসার পরই গোলাম রাব্বানী রাজনকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেন।
টুটুল অভিযোগ ছিল, এমপি গোলাম রাব্বানী ও রাজিন পরিকল্পিতভাবে ‘ভাড়াটে’ লোকজন নিয়ে ঐ সভায় আসার কারণে সভা মূলতবি ঘোষণা করে সভা ত্যাগ করি।’
‘ঘনিষ্ঠজন’ হিসাবে পরিচিত রাজিনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেন সাংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী। গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে টুটুল খান, ঈমানী আলী ও গোলাম কিরবিয়া। সংবাদ সম্মেলন তারা রাজিনকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রত্যাখান করেন। রাজিন পৌরসভার আনাচে কানাচে তার প্রচারণা চালিয়ে যান।
শিবগঞ্জের আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়ন বন্টনের আগেই মাঠ গুছিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্থান তৈরী করেছিলেন রাজিন। এরই মাঝে মইন খানের প্রার্থী হিসাবে চলে আসলে বিপাকে পড়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। একদিকে রাজিনের প্রতি দূর্বলতা; অন্যদিকে মার্কা নৌকা, এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়েছে নৌকার ভোটাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এশাধিক নেতাকর্মী ‘এমপি এমপি’ দ্বন্দ্বে এমনটা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘জামায়াতের নাশকতার সময় চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা রাজিনের প্রতি রয়েছে আমাদের দূর্বলতা। আবার বিনয়ী ও আর্থিক স্বচ্ছলতার দিক দিয়ে মইন খানকেও বাদ দিতে পারছি না। ফলে আমরা সাধারণ কর্মীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছি।’

বিএনপির অবস্থা: অতীতের চিত্র থেকেই দেখা যায়, শিবগঞ্জে বিএনপির অবস্থান সুদৃঢ়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাজাহান মিয়ার বাড়ি শিবগঞ্জে। সেই সুবাদে শিবগঞ্জ সদরে বিএনপি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিএনপি আরেক নেতা শামিম কবির হেলিম। গত পাঁচটি নির্বাচনে চারটিতেই চেয়্যারমান ও মেয়র নির্বাচিত হয় বিএনপির নেতা। বর্তমান মেয়র শামিম কবির হেলিম ‘হেভি ওয়েট’ প্রার্থী হলেও একাধিক মামলায় ‘জর্জরিত’ হবার কারণে এবার বিএনপি প্রার্থীতায় পরিবর্তন এনেছে। প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে পৌর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিককে। চলতি নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক পাওয়া শফিকুল ইসলাম হেলিমের চেয়ে ‘চৌকস’ না হলেও শিবগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির ‘ভোট ব্যাংক’ থাকায় বিএনপি প্রতিন্দন্দ্বীতায় এগিয়ে থাকবে এমনটাই দাবি বিএনপির নেতাদের।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট থাকলেও শিবগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের আলাদা প্রার্থী রয়েছে। জামায়াতকে বাইরে রেখেই জিততে চায় দলটি। তবে জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে ভোটে অংশগ্রহণ থেরে সরে দাঁড়ালে প্লাস পয়েন্ট হবে বিএনপির। অনায়াসেই নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে দলটি।
নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচনে কোনো লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। প্রতিপক্ষরা আচরণ বিধি ভঙ্গ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। কিন্তু কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্চে। ঠিকভাবে প্রচার প্রচারণা করতে পারছি না। অযথা হয়রানি বন্ধে গত ৬ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। গ্রেপ্তার হয়রানি চলছেই।



জামায়াতের অবস্থা: শিবগঞ্জ পৌরসভায় জামায়াতের অবস্থানও শক্ত দীর্ঘদিন ধরেই। গেল পাঁচটি পৌর নির্বাচনের মধ্যে একটিতে তারা জয়ীও হয়। এবার পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াতের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রের লেবাসে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন আগের নির্বাচিত চেয়্যারম্যান জাফর আলী।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকাশ্যে জামায়াতের ভোটের অবস্থান বুঝা যায় না। কিন্তু এখানে তাদের যে বড় অবস্থান রয়েছে; তা বুঝা যায় বিগত সময়ে সাংগাঠনিক কর্মকা-ে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পরপরই শিবগঞ্জ পুরোটাই ‘নিয়ন্ত্রণে’ নেয় জামায়াত। সাংগাঠনিক অবস্থা জানান দেওয়ার পাশাপাশি ঘটাতে থাকে একেরপর এক সহিংসতা ও নাশকতা। শতাধিক সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। পৌর এলাকার বাইরে কানসাট পল্লী বিদ্যু কেন্দ্র, সোনা মসজিদ পর্যটন মোটেলসহ শাহবাজ পুর, মোবারকপুর ও শ্যামপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার বাইরে শিবগঞ্জ বাজারে দোকানের বদ্ধ করে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় জামায়াতের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে দেখা যায় নি। তবে তাদের বিশাল কর্মী বাহিনী বিশেষ করে নারীকমীরা প্রার্থীর স্বপক্ষে গোপনে গোপনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

এক বিদ্রোহীর মনোনয়ন প্রত্যাহার : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে থাকা দু’জনের মধ্যে একজন শনিবার তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শিবগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা ইমানী আলী শনিবার বিকেলে শিবগঞ্জ উজেলা নির্বাচন অফিসে তার সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকালে ইমানী আলী বলেন, ‘কোন চাপের কারণে নয়। যেহেতু আওয়ামীলীগ করি, সংগঠনের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক সংগঠনেরই স্বাার্থে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’

সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য : আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী মইন খান বলেন, আওয়ামীলীগ যাচাই-বাছাই করেই আমাকে প্রার্থী হিসাবে দিয়েছে। আমার পরিবারের সকলেই আওয়ামী পরিবারের। দলের সকল দুর্দিনে আমরা পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো। নির্বাচিত হলে জনগণের স্বার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাবো।’
বিদোহী প্রার্র্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, দল থেকে মনোনয়ন না দিলেও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্ররোচনায় রাজিন নির্বাচনে আছে। আর তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে স্থানীয় এমপি গোলার রব্বানী।’

আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কারিবুল হক রাজিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, বিদ্রোহী বললে ভূল হবে, জনগণের স্বার্থ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে নির্বাচন করছি। যারা টাকার বিনিময়ে দল বিক্রি করে প্রতিবাদস্বরুপ নির্বাচনে অংশ নেওয়া। স্থানীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলের প্রার্থী হিসাবে মত দিলেও রাতের আধারে জেলা আওয়ামীলীগের কাছে গিয়ে পরিবর্তন হয়ে যায়। দল থেকে মনোনীত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিএনপি ঘেষার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামীলীগের কোনো কর্মসূচীতেও সে কখনো যায়নি। সেই অখ্যাত ও দলের কর্মীদের কাছে অপরিচিতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে জনগনই আমাকে নির্বাচনে থাকতে বলেছে। নির্বাচন করবোই।’

বিএনপির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেও ঠিকভাবে প্রচার প্রচারণা করতে পারছি না। একদিন করলে অন্যদিন বসে থাকতে হয়। অযথায় কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পঁচাত্তর বয়সয়োদ্ধ এক বৃদ্ধাকেও ধরে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই একজন দুই জন করে ধরা হচ্ছে। ফেয়ার নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।’

জামায়াতের নেতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৫-১২-১৫

, ,