হাসপাতাল মর্গেই লাশ পড়ে থাকল ২৪ ঘন্টা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামো শংকরবাটি ঘাইট্যালপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর কিশোর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (১৮) রোববার দিবগত রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত হয়েছিলেন। নিজ বাড়ি থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে ইসলামপুর ইউনিয়নের নিমগাছি মিরের চরা এলাকার একটি বরই বাগানে গলা কেটে হত্যার পর ফেলে রাখা লাশ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধার করা লাশ ময়না তদন্তের জন্য দুপুর একটার সময় নিয়ে আসা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে। তারপর চিকিৎসকের অভাবে ওই লাশ হাসপাতালের মর্গেই পড়ে থাকল দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা। সেই সঙ্গে লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় হাসপাতালেই পুরোটা দিন কাটল দেলোয়ারের স্বজনদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটের দিকে সদর থানার এসআই মাহবুবসহ পুলিশের একটি দল লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তারপর ডেকে আনা হয় ময়নাতদন্তকাজের সহযোগী হাসপাতালের সুইপারকে। কিন্তু চিকিৎসক নেই। শুরু হয় অপেক্ষার প্রহরগুনা। ওই সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুল ইসলামকে ২০ এপ্রিল সদর হাসাপাতাল থেকে বদলী করা হয়। তিনি ২২ এপ্রিল ছাড়পত্র নিয়ে ২৩ এপ্রিল নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। সেই থেকে সদর হাসপাতালে নতুন আবাসিক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। হাসপাতালের একজন নিয়োমিত চিকিৎসককে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রাখা হয়েছে।
ময়না তদন্তের অভিজ্ঞতা ও হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক না থাকায় দেলোয়ারের লাশ মর্গে পড়ে থাকতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দেলোয়ারের পরিবারের স্বজনরা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে ছোটাছুটি শুরু করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সদর হাসপাতালের বহু আগের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুল ইসলামকে (দু’ চিকিৎসকের নাম একই) ডেকে এনে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ময়না তদন্ত করেন। পরে দেলোয়ারের লাশ হস্তান্তর করা হয় তার পরিবারের লোকজনের কাছে।
এদিকে সদর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আবাসিক চিকিৎসকের বদলী জনিত কারণে হাসপাতালে ময়না তদন্ত নিয়ে প্রায় জটিলতা তৈরী হচ্ছে। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভুজা বারইপাড়া গ্রামে স্ত্রী হাতে নিহত দিলজান আলী (৫০) এর লাশ পরের দিন ২৫ এপ্রিল ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আবাসিক চিকিৎসক না থাকায় ওই লাশ মর্গে পড়ে থাকে প্রায় ২৫ ঘন্টা। ২৬ এপ্রিল সদ্য বদলী হওয়া আবাসিক চিকিৎসককে অনুরোধ করে ডেকে এনে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আলাউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ বিষয়টি নিয়ে বড় সমস্যাই রয়েছি। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে অন্যত্র বদলি করে দেয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ময়নাতদন্তকাজে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের ডেকে এনে ময়না তদন্ত করাতে হচ্ছে’। তিনি জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৫-০৫-১৫
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটের দিকে সদর থানার এসআই মাহবুবসহ পুলিশের একটি দল লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তারপর ডেকে আনা হয় ময়নাতদন্তকাজের সহযোগী হাসপাতালের সুইপারকে। কিন্তু চিকিৎসক নেই। শুরু হয় অপেক্ষার প্রহরগুনা। ওই সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুল ইসলামকে ২০ এপ্রিল সদর হাসাপাতাল থেকে বদলী করা হয়। তিনি ২২ এপ্রিল ছাড়পত্র নিয়ে ২৩ এপ্রিল নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। সেই থেকে সদর হাসপাতালে নতুন আবাসিক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। হাসপাতালের একজন নিয়োমিত চিকিৎসককে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রাখা হয়েছে।
ময়না তদন্তের অভিজ্ঞতা ও হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক না থাকায় দেলোয়ারের লাশ মর্গে পড়ে থাকতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দেলোয়ারের পরিবারের স্বজনরা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে ছোটাছুটি শুরু করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সদর হাসপাতালের বহু আগের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুল ইসলামকে (দু’ চিকিৎসকের নাম একই) ডেকে এনে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ময়না তদন্ত করেন। পরে দেলোয়ারের লাশ হস্তান্তর করা হয় তার পরিবারের লোকজনের কাছে।
এদিকে সদর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আবাসিক চিকিৎসকের বদলী জনিত কারণে হাসপাতালে ময়না তদন্ত নিয়ে প্রায় জটিলতা তৈরী হচ্ছে। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরিভুজা বারইপাড়া গ্রামে স্ত্রী হাতে নিহত দিলজান আলী (৫০) এর লাশ পরের দিন ২৫ এপ্রিল ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আবাসিক চিকিৎসক না থাকায় ওই লাশ মর্গে পড়ে থাকে প্রায় ২৫ ঘন্টা। ২৬ এপ্রিল সদ্য বদলী হওয়া আবাসিক চিকিৎসককে অনুরোধ করে ডেকে এনে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আলাউদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ বিষয়টি নিয়ে বড় সমস্যাই রয়েছি। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে অন্যত্র বদলি করে দেয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ময়নাতদন্তকাজে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের ডেকে এনে ময়না তদন্ত করাতে হচ্ছে’। তিনি জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৫-০৫-১৫