মৌসুম শেষ হলেও অনাদায়ী থেকে গেল আম ব্যবসায়ীদের ২শ কোটি টাকা

ফরমালিন আত্মংকে ক্রেতা সাধারণের অনিহা, দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ নানাবিদ কারনে এ বছরে শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরা-পাইকারী ও আড়তদারসহ প্রায় ১০হাজার আম ব্যবসায়ীর এ বছর প্রায় দু’ শত কোটি টাকার অনাদায়ী থেকে গেছে। মৌসুম শেষ হলেও বকেয়া আদায় না হওয়ায় অনেক আম ব্যবসায়ী হতাশার মধ্যে পড়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আম বাজার কানসাটসহ শিবগঞ্জের ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ১২শ টি আড়তের আড়তদারগন চিরাচরিত প্রথানুযায়ী এ বছরে সাধারন আম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাকীতে আম ক্রয় করে দেশের বড় বড় মোকামে বাকীতে বিক্রী করেছে। কিন্তু এ বছরে প্রথম দিকে আমে ফরমালিন দেয়ার অজুহাতে প্রশাসন শত শত ট্রাক আটক করে আম নষ্ট করে দেয়ায় ও দেশে প্রবল বন্যায় দেশের বড় বড় মোকাম গুলি আড়তদারদেকে ঠিক মত টাকা  না দেয়ায় আড়তদাররা সাধারন ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে পারছে না। এভাবে চক্রাকারে প্রায় ১০হাজার আম ব্যবসায়ী চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা তাদের পরিবার  নিয়ে কয়েকমাস থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে।  এমনকি অনেক আড়তদার গা ঢাকা দিয়ে আছে। আম ব্যবসায়ী প্রভাষক তরিকুল আলম জানান এবছর বিনোদপুর খাসের হাটে ৩৫টি আমের আড়ত ছিল। তার মধ্যে ৩৪টি আড়তের  মালিকই বড় বড় মোকামে  শত শত ট্রাক আম বিক্রী করে সম্পূর্ন্ন টাকা  পায়নি। তিনি আরো জানান বিনোদপুর খাসের হাটে আড়তদারদের মধ্যে বাবুপুরের হারুন ৯০লাখ টাকা,  কালিগঞ্জের আঃ মান্নান, পাঁকাটোলা গ্রামের এনামূল হক,সহ কয়েকজনের এককোটি টাকা করে, কালিগঞ্জের  ইব্রাহিম ও লছমনপুরের আঃ সালামের ৫০ লাখ টাকা করে ও একই গ্রামের তাজিরুলের ৩০ লাখ টাকা সহ বিনোদপুর খাসের হাটের ৩৪ জন আড়তদারদের প্রায় ১০কোটি টাকা অনাদায় রয়েছে।  কানসাট আম আড়ত সমিতির সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম জানান এ বছরে আম ব্যবসায়ীরা যে ক্ষতির সম্মখীন হয়েছে তা ১৯৯৮ সালে শতাব্দির ভয়াবহ বন্যার বছরও  সে ক্ষতির সম্মখীন হয়নি। তিনি আরো জানান  কানসাটে আড়তমালিক বাবুপুরের মনিরুল ও আরিফ এককোটি টাকা করে,  কানসাটের আড়ত মালিক ধাইনগরের হারুর চেয়ারম্যান প্রায ৩০ লাখ টাকা অনাদায়ের কারনে আত্বগোপনে আছে। একই ভাবে মাইনুল ইসলাম, নজরুলসহ শতাধিক আড়তদার এভাবে কেউ আত্মগোপনে, কেউ বিভিন্ন স্থানে  বড় বড় মোকামে মাসের পর মাস টাকার জন্য অবস্থান করছেন। সাম্প্রতিক কালে শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি গ্রামের মান্টু আমের টাকা আনতে গিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে হত্যার শিকার হয়েছে।এ ব্যাপারে কানসাট আম আড়তদার মালিকসমিতির সভাপতি মোহাঃ নজরুল ইসলাম বলেন এবছরে শুধু কানসাটেই ৪ হাজার কোটি টাকার আম কেনা বেচা হয়েছে,তারমধ্যে প্রায় ২শ কোটি টাকা অনাদায় রয়েছে। আমিও নিজেও বর্তমানে মোকামে টাকার জন্য অবস্থান করছি। তিনি আরো জানান  গত বছরের তুলনায় ্ এ বছর অনাদায় অনেক বেশী হওয়ার কারণ হলো ফরমালিনের অজুহাতে আমের ট্রাকে প্রশাসনের হয়রানী। তবে সামনে বছরে এ জের ধরে আম ব্যবসার কোন প্রভাব পড়বে না। @ সফিকুল ইসলাম সফিক

,