রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক শামসুল হুদার ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী অধ্যাপক শামসুল হুদার আজ রোববার ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী। পৌর এলাকার পোল্লাডাঙ্গা গ্রামের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ আরামবাগ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মাসিক মোসলেম জাহান পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা হেসামুদ্দীন হাসু মৌলভির ঔরসে এবং শামসুন্নাহারের গর্ভে জন্ম নেয়া অধ্যাপক জিকেএম শামসুল হুদা ১৯৯৪ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি, ৪ঠা রমজান মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ কোরআন খানি, বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে দোযা মাহপিল ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি শামসুল হুদা চাঁপাইনবাবগঞ্জের হেফজুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল, আলিম পাস এবং রাধাকান্তপুর মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাসের পর বগুড়ার মোস্তাফাবিয়া মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করেন। আবার জেনারেল লাইনে স্কুলে ভর্তি হয়ে ম্যাট্রিক পাশের পর নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে শংকরবাটি পোল্লাডাঙ্গা বিদ্যালয়ে কিছু সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল কলেজে শুরু করেন অধ্যাপনা। সেখান থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময় (নভেম্বর মাসে) চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। দেশ ¯^াধীনের পর আবারও ঘাটাইল কলেজে গিয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিছুদিন পর কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলে আসেন।
প্রয়াত শামসুল হুদা ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ৬০ এর দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল সাঈদ-আমজাদ (অধ্যাপক আবু সাঈদ, সাবেক তথ্য মন্ত্রী ও সরদার আমজাদ হোসেন, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী) প্যানেলে প্রো-ভিপি নির্বাচিত হন। ¯^াধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন হলে তৎতাকলিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী যুবলীগের প্রথম চেয়ারম্যান (সভাপতি)’র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ¯^াধীনতা পরবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জে রিলিফ কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সেজন্য স্থানীয়রা তাঁকে হোদা চেয়ারম্যান নামেও চিনে থাকেন। যুবলীগ শেষে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আওয়ামীলীগের ‘দূর্দিনে’ আওয়ামীলীগের হয়ে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এহসান আলী খানের কাছে পরাজিত হন।
রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রিয় গ্রাম পোল্লাডাঙ্গায় ১৯৬৬ সালে পোল্লাডাঙ্গা সমাজ সেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে পোল্লাডাঙ্গা গ্রামটি আওয়ামীলীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ৭০ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে সর্বশেষ গত নির্বাচনেও পোল্লাডাঙ্গা কেন্দ্রের আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডল পৌরসভার ৪৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিটিতেই তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভ করেছিলেন। একমাত্র পোল্লাডাঙ্গা কেন্দ্রে প্রথম স্থানে ছিলেন।
ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক শামসুল হুদা মনিং নিউজসহ অন্যান্য পত্রিকায় লেখালেখি করলেও ¯^াধীনতার পর বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাদেশ বেতারের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি শামসুল হুদা চাঁপাইনবাবগঞ্জের হেফজুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল, আলিম পাস এবং রাধাকান্তপুর মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাসের পর বগুড়ার মোস্তাফাবিয়া মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করেন। আবার জেনারেল লাইনে স্কুলে ভর্তি হয়ে ম্যাট্রিক পাশের পর নবাবগঞ্জ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে শংকরবাটি পোল্লাডাঙ্গা বিদ্যালয়ে কিছু সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল কলেজে শুরু করেন অধ্যাপনা। সেখান থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময় (নভেম্বর মাসে) চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিরে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। দেশ ¯^াধীনের পর আবারও ঘাটাইল কলেজে গিয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিছুদিন পর কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলে আসেন।
প্রয়াত শামসুল হুদা ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ৬০ এর দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল সাঈদ-আমজাদ (অধ্যাপক আবু সাঈদ, সাবেক তথ্য মন্ত্রী ও সরদার আমজাদ হোসেন, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী) প্যানেলে প্রো-ভিপি নির্বাচিত হন। ¯^াধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন হলে তৎতাকলিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী যুবলীগের প্রথম চেয়ারম্যান (সভাপতি)’র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ¯^াধীনতা পরবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জে রিলিফ কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সেজন্য স্থানীয়রা তাঁকে হোদা চেয়ারম্যান নামেও চিনে থাকেন। যুবলীগ শেষে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আওয়ামীলীগের ‘দূর্দিনে’ আওয়ামীলীগের হয়ে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এহসান আলী খানের কাছে পরাজিত হন।
রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রিয় গ্রাম পোল্লাডাঙ্গায় ১৯৬৬ সালে পোল্লাডাঙ্গা সমাজ সেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে পোল্লাডাঙ্গা গ্রামটি আওয়ামীলীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ৭০ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে সর্বশেষ গত নির্বাচনেও পোল্লাডাঙ্গা কেন্দ্রের আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডল পৌরসভার ৪৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিটিতেই তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভ করেছিলেন। একমাত্র পোল্লাডাঙ্গা কেন্দ্রে প্রথম স্থানে ছিলেন।
ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক শামসুল হুদা মনিং নিউজসহ অন্যান্য পত্রিকায় লেখালেখি করলেও ¯^াধীনতার পর বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাদেশ বেতারের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।