মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় > ঝুঁকি স্কুলে কষ্টের ক্লাস
বিদ্যালয় ভবনে একাধিক ফাটলের প্রেক্ষিতে পরিত্যক্ত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় লেখাপড়া করতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা সাড়ে সাত শ’ শিক্ষার্থী অর্বণনীয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে মাঠের মধ্যে টিনশেড নির্মানের উদ্যোগও অর্থের অভাবে মুখ থুবরে পড়ে রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র স্কুল-ক্লাব রোডে ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয় নবাবগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বছরই নির্মাণ করা হয় একতলা বিদ্যালয় ভবন। দিনে দিনে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে একতলা ভবনের উপর ২০০২/০৩ সালে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। ৫০ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয়ের একতলা ভবনে বীমে বীমে ফাটল দেখা দিয়েছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ক্লাস চলার সময় একটি শ্রেণী কক্ষ থেকে বিশাল এলাকাজুড়ে ছাদের পলেস্তারও খুলে পড়ে। ওই ঘটনায় কোন শিক্ষার্থী আহত না হলেও অভিভাবকদের মাঝে বিদ্যালয় ভবন নিয়ে চরম আত্মংকের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক সরদর সরাফত আলীকে জানানো হলে তিনি প্রকৌশল বিভাগকে ভবন পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলে সদর উপজেলা প্রকৌশল শাখা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গত ২ নভেম্বর বিদ্যালয় ভবনটি সীলগালা করে দেন।
বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যালয় ভবন সীলগালা হয়ে যাবার পর শিক্ষার্থীদের পাঠাদান বন্ধ হয়ে যায়। টানা পাঠদান বন্ধ থাকার মাঝে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী হরিমোহন সরকারী বিদ্যালয়ে। ওই সূত্র জানায়, বছরজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা তার উপর বিদ্যালয় ভবন সীলগালা হওয়ার কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় বরাবর ভাল ফলাফল করা এই বিদ্যালয় গত বছর কাংখিত ফলাফল পায়নি।
টানা তিন মাস ‘ভবন বিহীন’ এই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হলে পাঠদান নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে বিদ্যালয় মাঠে টিনশেড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান থেকে সংকুলান না হওয়ায় টিনশেড নির্মাণ মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরাও এগিয়ে আসেনি।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ্যাড. শামসুল হক বলেন, ‘ অস্থায়ী ভিত্তিতে টিনশেড নির্মাণের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। জেলা প্রশসকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা অনুদানের আশ্বাস পাওয়া গেছিল। কিন্তু সেটি পাওয়া যায়নি’। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শিক্ষা বিভাগ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হক বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত শ। যা শহরের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যাগুলোর মধ্যে সর্ব্বোচ। নিজেদের উদ্যোগে টিনশেড নির্মান কাজ টাকা অভাবে না সম্পন্ন হওয়ায় বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস শুরু করতে হয়েছে’।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রচণ্ড শীতের মাঝে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে গিয়ে শিশুদের অবর্নণীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসাও কমিয়ে দিয়েছে। আর মাঠের মধ্যে বোর্ড ব্যবহার করতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়া বোঝাতে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বছর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতাসীন দলের ২/৩ জন নেতার তৎপরতায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের নতুন উদ্যোগ ‘দেশের ৫০৩টি উপজেলা সদরে একটি করে বিদ্যালয়ের নীচতলা ফাঁকা রেখে নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ অর্থাৎ ‘মডেল’ ভবন নির্মাণের তালিকা থেকে মডেল স্কুলকেই বাদ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মনিন্দ্র নাথ রায় ও অতিরিক্ত মহা পরিচালক এস এম মেসবাহউল ইসলাম ¯^াক্ষরিত দু’টি পরিপত্রে ‘উপজেলা সদরে মডেল স্কুলকে সর্বপ্রথম বিবেচনা করতে হবে’ বলা হলেও নির্বাচন করা হয় শহরতলীর নয়ানশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে।
মাসের পর মাস বিদ্যালয় ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য বিলকিস আরা মহুয়া বলেন, ‘এইভাবে কি আর বিদ্যালয় চলে। মূল শহরের ভেতরেই মানবেতরভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। অথচ সংশ্লিষ্টরা নির্বাক হয়ে বসে রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও ভবন নির্মাণ নিয়ে বিরোধীতা করেন। তারা এখন (টিনশেড নির্মাণের সময়) দু’টা টাকা নিয়ে এসেও পাশে দাঁড়ান না’।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সাত্তার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থায় ক্লাস চালানোর জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র স্কুল-ক্লাব রোডে ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয় নবাবগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বছরই নির্মাণ করা হয় একতলা বিদ্যালয় ভবন। দিনে দিনে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে একতলা ভবনের উপর ২০০২/০৩ সালে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। ৫০ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয়ের একতলা ভবনে বীমে বীমে ফাটল দেখা দিয়েছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ক্লাস চলার সময় একটি শ্রেণী কক্ষ থেকে বিশাল এলাকাজুড়ে ছাদের পলেস্তারও খুলে পড়ে। ওই ঘটনায় কোন শিক্ষার্থী আহত না হলেও অভিভাবকদের মাঝে বিদ্যালয় ভবন নিয়ে চরম আত্মংকের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক সরদর সরাফত আলীকে জানানো হলে তিনি প্রকৌশল বিভাগকে ভবন পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলে সদর উপজেলা প্রকৌশল শাখা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গত ২ নভেম্বর বিদ্যালয় ভবনটি সীলগালা করে দেন।
বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যালয় ভবন সীলগালা হয়ে যাবার পর শিক্ষার্থীদের পাঠাদান বন্ধ হয়ে যায়। টানা পাঠদান বন্ধ থাকার মাঝে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী হরিমোহন সরকারী বিদ্যালয়ে। ওই সূত্র জানায়, বছরজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা তার উপর বিদ্যালয় ভবন সীলগালা হওয়ার কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় বরাবর ভাল ফলাফল করা এই বিদ্যালয় গত বছর কাংখিত ফলাফল পায়নি।
টানা তিন মাস ‘ভবন বিহীন’ এই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হলে পাঠদান নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে বিদ্যালয় মাঠে টিনশেড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান থেকে সংকুলান না হওয়ায় টিনশেড নির্মাণ মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরাও এগিয়ে আসেনি।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ্যাড. শামসুল হক বলেন, ‘ অস্থায়ী ভিত্তিতে টিনশেড নির্মাণের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। জেলা প্রশসকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা অনুদানের আশ্বাস পাওয়া গেছিল। কিন্তু সেটি পাওয়া যায়নি’। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শিক্ষা বিভাগ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হক বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত শ। যা শহরের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যাগুলোর মধ্যে সর্ব্বোচ। নিজেদের উদ্যোগে টিনশেড নির্মান কাজ টাকা অভাবে না সম্পন্ন হওয়ায় বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস শুরু করতে হয়েছে’।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রচণ্ড শীতের মাঝে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে গিয়ে শিশুদের অবর্নণীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসাও কমিয়ে দিয়েছে। আর মাঠের মধ্যে বোর্ড ব্যবহার করতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়া বোঝাতে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বছর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতাসীন দলের ২/৩ জন নেতার তৎপরতায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের নতুন উদ্যোগ ‘দেশের ৫০৩টি উপজেলা সদরে একটি করে বিদ্যালয়ের নীচতলা ফাঁকা রেখে নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ অর্থাৎ ‘মডেল’ ভবন নির্মাণের তালিকা থেকে মডেল স্কুলকেই বাদ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মনিন্দ্র নাথ রায় ও অতিরিক্ত মহা পরিচালক এস এম মেসবাহউল ইসলাম ¯^াক্ষরিত দু’টি পরিপত্রে ‘উপজেলা সদরে মডেল স্কুলকে সর্বপ্রথম বিবেচনা করতে হবে’ বলা হলেও নির্বাচন করা হয় শহরতলীর নয়ানশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে।
মাসের পর মাস বিদ্যালয় ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য বিলকিস আরা মহুয়া বলেন, ‘এইভাবে কি আর বিদ্যালয় চলে। মূল শহরের ভেতরেই মানবেতরভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। অথচ সংশ্লিষ্টরা নির্বাক হয়ে বসে রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও ভবন নির্মাণ নিয়ে বিরোধীতা করেন। তারা এখন (টিনশেড নির্মাণের সময়) দু’টা টাকা নিয়ে এসেও পাশে দাঁড়ান না’।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সাত্তার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থায় ক্লাস চালানোর জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে’।