বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, গণভবন থেকে যদি সেই দিন শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে তার লাশ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যেতনা। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে বেঁচেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করে গেছে। আওয়ামী লীগ হারিয়ে গেছে আর জনতার সামনে আসতে পারবেনা।
সোমবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিনের মহিপুর হাটে গণহত্যা, দুনীতিবাজ, গণতন্ত্রের শত্রুদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপের দাবিতে এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশের আয়োজনে করে গোবরাতলা ইউনিয়ন বিএনপি।
গত ৫ আগস্টের আগে কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশ-র্যাব ও শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনীদ্বারা নিরস্ত্র নিরহী নিরাপরাধ শিশু থেকে শুরু করে নারীসহ ছাত্রজনতা তালিকা করা হচ্ছে যে কত জন মারা গেছে। তথ্য পেয়েছি ১৪শ’র অধিক মানুষ মারা গেছে। এত গুলো প্রাণের বিনিময়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ গুলিবৃদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। এত বড় একটি বিপ্লাবের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনা সূচনার হয়েছে।
মতায় থাকার জন্য শুধু নিজেরদেরকে নির্বাচিত সরকার দাবি করত, পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় কোন দেশ খোঁজে পাওয়া যাবেনা যেখানে নিরহী নিরাপরাধ মানুষকে নিরবিচারে হত্যা করেছে। মতায় থাকার জন্য হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করেছে। সারা বাংদেশে বা ঢাকায় গুলি, টিয়ার শেল উপে করে ল ল মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আপনারা টেলিভিশনে দেখেছেন ল ল মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তখন হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তার মন্ত্রী-র্যাব ও পুলিশ প্রধানরাও পালিয়ে গেছে।
হারুন আরো বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকার সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে গেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, অর্থনীতি হত্যা করেছে, এদেশে মানুষকে গুম করেছে, বিনা বিচার হত্যা করেছে, নিরিহ মানুষকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করেছে। তিনি বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার দোষররা এখথনও রয়ে গেছে। আমরা সকল রাজনৈতিক মিথা মামলা প্রত্যাহার চাই।
অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে দাবি করে হারুন বলেন, এখনও দেশে বিশৃঙ্খল চলছে, এখনও অস্থিরতা চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে শেখ হাসিনা ভারত থেকে কুট চাল চালছে। বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে হারুন বলেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে মতা ছেড়ে দিতে হবে।
গোবরাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদিউজ্জামান সাদি মিঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেনÑ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. তোসিকুল ইসলাম তসি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলার কৃষক দলের সদস্য সচিব তাসেম আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান অনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামিউল হক সোহেল,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩ সেপ্টম্বও ২০২৪