শিবগঞ্জে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে


মাঠের পর মাঠ। সেই মাঠ এখন হয়ে আছে হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের ফুলগুলোতে মৌমাছির আনাগোনা। ফুলে থাকা মধুর লোভে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছিরা। সরিষা ফুলের ঘ্রান আর হালকা বাতাসে গাছের দুলনিতে উঠে হলুদ ঢেউ। প্রকৃতিতে হলুদের আভা এনেছে সরিষা ফুল। সকালে শিশিরে ভেঁজা ফুলের সৌন্দর্য বাড়ে আরও। এ দৃশ্য মুগ্ধ করবে যেকোন প্রকৃতি প্রেমিকে। শিবগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর মাঠ প্রান্তরে এখন যেন সরিষার হলুদে হাসি। খরচ কম, সময় কম ও ফলন বেশী  এবং  দামও ভাল পাওয়ায় শিবগঞ্জে সরিষা চাষে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


সরজমিনে উপজেলার দূর্লভপুর, কানসাট, মনাকষা, শ্যামপুর, ধাইনগর, উজিরপুরসহ পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদি জমি দেখা গেছে।
কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, শিবগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৭শ’ ৬০ হেক্টর বেশী জমিতে আবাদ হচ্ছে। এবং ৪ হাজার ৭’শ জন কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের কৃষক শরিফুল এই বছর ৩ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি। তার দাবী, বিঘা প্রতি ৫ মন করে সরিষা পাওয়া যাবে।
চরাঞ্চলের কৃষক আলকেশ ও রফিক বলেন; অনান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় চরাঞ্চলের জমিগুলোতে সরিষার আবাদ বেশি হচ্ছে। এছাড়াও আমের বাগানগুলোতে সাথী ফসল হিসেবেও সরিষা চাষ করছেন কৃষকরা। যার ফলে অল্প খরচেই লাভবান হন তারা। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে ইরি-বোরো ধানের আবাদে খরচ মেটানো সম্ভব হবে বলে জানান তারা।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, গত বছর উপজেলার ৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। আশানুরুপ ফলন আর সরিষার দাম পাওয়ায় এবার ৭৬০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষার জাত বারি ১৪ ও ১৭ চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভাবন হচ্ছেন। কৃষকদের মাঠে মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২