চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন > চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার পথে আ.লীগ নেতা রুহুল আমীন


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ছাড়া কেউ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। এছাড়া মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সদস্য পদে মনোনয়ন দাখিল করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সদস্য পদের সমর্থকদের মাধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ্বকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এর আগে ও পরে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে কেউ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলে একক প্রার্থী হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের আর প্রয়োজন পড়বে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার পথে আওয়ামীলীগের এ নেতা।

তবে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র তুলেছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা আব্দুল ওয়াহেদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি সামিউল হক লিটন ও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদেয়া গোমস্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু।
মনোনয়ন জমা দেওয়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একটা কথা আজ বলতে চাই, জেলা পরিষদ হবে জনগনের প্রতিষ্ঠান। আমি শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যেতে চাই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মোওয়াক্কিল রহমান জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সাধারণ সদস্য-১ আসনে ৮ জন, ২ , ৩ ও ৪ আসনে ৫ জন করে এবং ৫ আসনে ৬জন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য-১ ও ২ আসনে ৩ জন করে মোট ৩৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদে চার জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও একজন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী যদি যাচাই বাছাইয়ে তার প্রার্থীতা বহাল থাকে, তাহলে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে ওই পদে কোন ভোট গ্রহনের প্রয়োজন পড়বে না।
এদিকে, দুপুরে সাধারণ সদস্য-১ আসনে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে আসলে আওয়ামী লীগের দু’ সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। খবর পেয়ে অতিরিক্ত ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, সাংবাদিকরায় আমাকে জানিয়েছিলো, আমি সাথে সাথে পুলিশের যিনি এখানে ছিলেন তাকে বলে দিয়েছিলাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, তবে কোন প্রার্থী আমাকে কোন ধরনের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেননি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২