বাবুডাইং অগ্নিকান্ডে পুড়লো বৃদ্ধ দম্পতির সহায় সম্বল


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বাবুডাইং নতুনপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার ভোরে একটি বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য তৈরী ধোঁয়া থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একটি ষাঁড়, দুটি ছাগল, ৩০টি মুরগি ও দুটি পাঁতিহাস পুড়ে মারা গেছে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে তিগ্রস্ত মো. আনাদি (৭০) জানান, তাঁর গোয়ালঘরে একটি ষাঁড়, দুটি ছাগল, ৩০টি মুরগি ও কয়েকটি পাঁতিহাস ছিল। মশা তাড়াতে রাতে ঘুটা (গরুর গোবরের তৈরি জ্বালানি) দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করা হয়। আনুমানিক ভোররাত তিনটার দিকে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি বুঝতে পেরে সকলে জেগে ওঠে। তাঁর স্ত্রী সায়েরা বেগম (৬০) আগুন থেকে পশুগুলোকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে গোয়ালঘরে প্রবেশ করে। এসময় ঘরের চালা খসে পড়ে। কোনমতে তাঁকে উদ্ধার করা গেলেও আগুনে পুড়ে মারা যায় পশুগুলো। স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আগুনের শিখা দেখে পাশের কোল ুদ্র জাতিসত্তার মানুষেরা হাঁড়ি-কলসি নিয়ে ছুটে এসে আগুন নেভাতে শুরু করে। সাথে গ্রামবাসীরাও যুক্ত হয়। ভোর ছয়টার দিকে আগুন নেভাতে সম হন সকলে।
তিনি আরও জানান, আগুনে গোয়ালঘরের পাশাপাশি তাঁদের থাকার ঘরের একটি পাশও পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে কিছু আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় পুড়ে যাওয়া দুটি ছাগলের একটি ছিল তাঁর মেজো ছেলের। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার মত তি হয়েছে।
আনাদি বেগমের বড় ছেলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, হামার শ্বশুর এ বয়সেও খাইটা খায়। ম্যালা কষ্টে ষাঁড়টা পুষছিল। গতকাইলক্যাও (সোমবার) পাইকার আইস্যাছিল। এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দিতে চাহাছিল। কিন্তু আরও দাম পাওয়ার আসায় না বেইচা পুশছিল। এখনতো সব শেষ হয়্যা গ্যালো।
গ্রামের মোড়ল ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম অগ্নিকান্ডে য়তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আনাদি চাচার তিন ছেলের সবাই আলাদা। তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর বয়স্ক ভাতার কার্ড থেকে কিছু টাকা পায়। পাশাপাশি কখনও কখনও বাগান জোগানোর কাজ করে থাকে। অনেক কষ্টে গরুটা ছোট থেকেই লালনপালন করছিল। সম্বল বলতে সেটুকুই ছিল। এখনতো সেটাও আর থাকলোনা। তাঁদের সাহায্য দরকার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩ আগস্ট, ২০২২