বিজিবিকে আন্তর্জাতিক মানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে...... পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী


পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন “বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ল্েয বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি’র সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে ইতোমধ্যে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে। তিনি শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি’র ৯৬ তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিন সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বিজিবি’র সদস্যদের স্মরণ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাতে গড়া এই বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দেশের ৪ হাজার ৪শ’ ২৭ কি:মি: দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোন ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমন সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সাথে পালন করে আসছে। 


 এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানসহ যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে সেবা ও কর্তব্য পরায়ণতার মাধ্যমে সমগ্র জাতির শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে মূল পরিচিতি। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দতার মাপকাঠি। নবীন সৈনিকদের মধ্যে তারই প্রতিফলন আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত ও মুগ্ধ করেছে।
প্রিয় সৈনিকগণ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের চারটি মূলনীতি- মনোভাব, মাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দতা। এসব নীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিজিবির প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সীমান্তে অতন্দ্র পাহারা দিয়ে সার্বভৌমত্ব রা করতে হবে। এই দায়িত্ব পালনে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট’ এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রæতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি এই বাহিনীতে অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে।
এ সময় কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মোঃ হারুনুর রশিদ, ডাঃ সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান, জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব, ৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক  লে. কর্ণেল মোহাম্মদ সুরুজ  মিয়া, ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক আমির হোসেন মোল্লা।
রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে শুরু হয়। এই মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নেয় ২’শ ৪৮ জন নবীন সৈনিক। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের অত্যন্ত কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আজ আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের শুভ সূচনা হলো।


এর আগে নবীন সৈনিকদের প্রশিণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি। প্রশিণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিক্রুট ব্যাচের সেরা চৌকসদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৭ জুলাই, ২০২১