জাতীয় পরিচয় পত্রের হিসেবে বয়স তাঁর ৮০। তবে, তাঁর দাবি গেল বছরই ৯০ ছুঁয়েছেন। বয়স তাঁর ৮০ ই হোক কিংবা ৯১ বয়সের ভারে নূয্য উম্মে কুলসুম বিড়ম্বণাকে জয় করে ভোট দিয়েছেন তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে। ভোট দিয়ে বেজায় খুশি উম্মে কুলসুম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চতুরপুর গ্রামের সওদাগর মিস্ত্রির মেয়ে উম্মে কুলসুম জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম ১৯৪০ সালের ১ মার্চ মাসে। শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে শিবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন ভোর বেলাতেই। কিন্তু ইভিএম-এ ফিঙ্গার জটিলতায় তিনি ভোট দিতে পারেননি। ভোট না দিয়েই ফিরে গেছিলেন বাড়িতে।
উম্মে কুলসুমকে দ্বিতীয় দফা ভোট দিতে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া তার ভাতিজা বউ সেলিনা খাতুন বলেন, ‘ ভোর বেলা যখন শাশুড়িকে ভোট দিতে নিয়ে এসেছিলাম তখন মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ভোট কক্ষের অফিসার তখন আমাদেরকে বিকেলে আসতে বলেন’। সেলিনা খাতুন বলেন, ‘ কষ্ট করে শাশুড়িকে ভোট দিতে নিয়ে এসে ভোট দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে গিয়ে আর ভোট দিতে আসবো না এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু শাশুড়ির আগ্রহের শেষ নেই। তিনি ভোট দিবেনই। তাই আবারও ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা’।
সেলিনা জানান, ভোট গ্রহণের শেষ সময়সীমা ৪টার প্রায় মাত্র ৫ মিনিটি আগে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে আবারও আঙ্গুলের ছাপে জটিলতা দেখা দেয়। ভোট কেন্দ্রের লোক আঙ্গুল ধুয়ে নিতে বললে আঙ্গুল ধুয়ে কেন্দ্রে গেলে আর জটিলতা দেখা দেয়নি।
ভোট দেয়াতে উম্মে কুলসুমের অনেক আগ্রহ। আগে প্রতিটি ভোটেই তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন উল্লেখ করে সেলিনা বলেন, ‘ আমার শাশুড়ি তার নিজের ইচ্ছায় তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বের হয়েছেন’।
ভোট দেয়ার পর কেমন লাগছে অনুভূতি জানতে চাইলে বৃদ্ধা উম্মে কুলসুম মুচকি হেসে বলেন, ‘ভালই লাগছে...’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-০২-২১
বিড়ম্বণা রুখতে পারেনি উম্মে কুলসুমের ভোটদান