করোনার আক্রান্ত রোগীর ঠাই হলোনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার এক করোনা রোগী প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসাপাতালে চিকিৎসা পাননি। বরং হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রধান ফটক থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ঢোকার সুযোগ না দিয়েই রাজশাহী মিশন হাসপাতাল চলে যাওয়ার পরমর্শ দেয়া হয়। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স এবং করোনা রোগীর কারণে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ছটপট করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বেলেপুকুর এলাকার ২১ বছর বয়স্ক করোনা আক্রান্ত ওই রোগী শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘ লকডাউনের পর বাসায় ছিলাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমার খোঁজ খবর রাখা এক স্বাস্থ্য পরিদর্শককে সেলফোনে বিষয়টি অবহিত করি। তাকে অবহিত করার কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসাপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে পরিবহন সমস্যার পরেও কোন রকমে স্থানীয় একটি রিক্সা জোগার করে রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা ইমারেজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) শামসুল আলম ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমার রিক্সাকে দূরেই দাঁড় করাতে বলেন এবং দূর থেকেই জানান, এখানে কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। কাগজপত্র করে দিচ্ছি রাজশাহী মিশন হাসপাতালে চলে যান’।
করোনা আক্রান্ত রোগী অভিযোগ করেন, তাঁকে (চিকিৎসককে) এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি তা দিতে পারেননি। উল্টো দ্রুত হাসপাতাল এলাকা ছাড়ার তাগাদা শুরু করেন।
ওই রোগী জানান, হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে রাতের বেলায় মা ও বড় বোনের কাঁধেভর করে এ্যাম্বুলেন্স খোঁজা শুরু করি। হাসপাতালের বাইরে থাকা বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সগুলোর কাছে গেলে তারও করোনা ভয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
তিনি বলেন, ‘ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের আচরণ সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া মৃত্যু নিশ্চিত মেনেই মা ও বোনকে বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করি। এমন সময় সদর হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স আসলে রাত পৌনে দু’টার দিকে রাজশাহী যাত্রা করি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী মিশন হাসপাতালে ভর্তি হই’।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নাদিম সরকার জানান, রোগীকে অক্সিজেন দেযার মত কোন ব্যবস্থা ছিলনা। আর হাসপাতালের দু’টি এ্যাম্বুলেন্সের দু’জন চালকের মধ্যে একজন চালক ছুটিতে ছিলেন। অন্যজন রোগী নিয়ে রাজশাহী গিয়েছিলেন। একারণেই এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘ হাসপাতালের অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পালস অক্সিমিটার হাতে পেয়েছি আজ (শনিবার)। হাইফ্লোক্যানুলা এখনও হাতে পায়নি। তবে, হয়তো খুব শীগ্রই ব্যবস্থা হবে’।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থায় ৫৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে সংযোগ স্থাপন হয়েছে মাত্র তিনটির সঙ্গে। এক সঙ্গে পাঁচজন রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়লে তা দেয়া সম্ভব হবেনা’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরু ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ হাসপাতালের ইএমও রোগীকে ভর্তি করতে ভয় পেয়েছে। তবে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নেই সদর হাসপাতালে শিগ্ররই ব্যবস্থা হবে। আর ওই রোগীর সঙ্গে আচরণের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৭-০৬-২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বেলেপুকুর এলাকার ২১ বছর বয়স্ক করোনা আক্রান্ত ওই রোগী শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘ লকডাউনের পর বাসায় ছিলাম। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমার খোঁজ খবর রাখা এক স্বাস্থ্য পরিদর্শককে সেলফোনে বিষয়টি অবহিত করি। তাকে অবহিত করার কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসাপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে পরিবহন সমস্যার পরেও কোন রকমে স্থানীয় একটি রিক্সা জোগার করে রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা ইমারেজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার (ইএমও) শামসুল আলম ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমার রিক্সাকে দূরেই দাঁড় করাতে বলেন এবং দূর থেকেই জানান, এখানে কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। কাগজপত্র করে দিচ্ছি রাজশাহী মিশন হাসপাতালে চলে যান’।
করোনা আক্রান্ত রোগী অভিযোগ করেন, তাঁকে (চিকিৎসককে) এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি তা দিতে পারেননি। উল্টো দ্রুত হাসপাতাল এলাকা ছাড়ার তাগাদা শুরু করেন।
ওই রোগী জানান, হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে রাতের বেলায় মা ও বড় বোনের কাঁধেভর করে এ্যাম্বুলেন্স খোঁজা শুরু করি। হাসপাতালের বাইরে থাকা বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সগুলোর কাছে গেলে তারও করোনা ভয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
তিনি বলেন, ‘ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের আচরণ সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া মৃত্যু নিশ্চিত মেনেই মা ও বোনকে বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করি। এমন সময় সদর হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স আসলে রাত পৌনে দু’টার দিকে রাজশাহী যাত্রা করি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী মিশন হাসপাতালে ভর্তি হই’।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নাদিম সরকার জানান, রোগীকে অক্সিজেন দেযার মত কোন ব্যবস্থা ছিলনা। আর হাসপাতালের দু’টি এ্যাম্বুলেন্সের দু’জন চালকের মধ্যে একজন চালক ছুটিতে ছিলেন। অন্যজন রোগী নিয়ে রাজশাহী গিয়েছিলেন। একারণেই এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘ হাসপাতালের অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পালস অক্সিমিটার হাতে পেয়েছি আজ (শনিবার)। হাইফ্লোক্যানুলা এখনও হাতে পায়নি। তবে, হয়তো খুব শীগ্রই ব্যবস্থা হবে’।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থায় ৫৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে সংযোগ স্থাপন হয়েছে মাত্র তিনটির সঙ্গে। এক সঙ্গে পাঁচজন রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়লে তা দেয়া সম্ভব হবেনা’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরু ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ হাসপাতালের ইএমও রোগীকে ভর্তি করতে ভয় পেয়েছে। তবে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নেই সদর হাসপাতালে শিগ্ররই ব্যবস্থা হবে। আর ওই রোগীর সঙ্গে আচরণের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৭-০৬-২০