ধর্ষণ মামলায় ট্রাক চালকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের দায়ে মো. আবু সাইম ওরফে শামীম (৪১) নামের এক ট্রাক চলককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদলত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার চাঁপাইনববাগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শওকত আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দ-িত ট্রাক চালক আবু সাইম ওরফে শামীম জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর জাইগীর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে সরকারি কৌসুলি আঞ্জুমান আরা বলেন-মামলার বরাত দিয়ে সরকারি কৌসুলি আঞ্জুমান আরা বলেন- জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের এক মহিলা ঢাকায় গ্রার্মেন্টসের চাকরি করত। ঘটনার দুই বছর পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার সময় শামীমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শামীম বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ওই মহিলার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রেম, ভালবাসা ও বিয়ের প্রস্তাব দিত। ঘটনার ৬ মাস পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে শামীম ওই মহিলাকে কৌশলে একটি অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর দুই তিন মাস পরে আবারও একই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনা ওই মহিলা তার খালাকে জানায়। ঘটনার এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ওই মহিলার খালার বাড়িতে যায় শামীম এবং বিয়ের আশ্বাস দেয় এবং ওই দিন রাতে ওই মহিলার খালার বাড়িতে আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে বিয়ে না করে পালানোর সময় ওই মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ধরে ফেলে। ঘটনার পরের দিন ১১ এপ্রিল ওই মহিলা বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার ওই সময়ের এআই মো. মামুনুর রশিদ একই বছর ১০ জুন মো. আবু সাইম ওরফে শামীমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্য প্রমান ও শুনানি শেষে আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান সরকারি কৌসুলি আঞ্জুমান আরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-১০-১৯
মঙ্গলবার চাঁপাইনববাগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শওকত আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দ-িত ট্রাক চালক আবু সাইম ওরফে শামীম জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর জাইগীর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে সরকারি কৌসুলি আঞ্জুমান আরা বলেন-মামলার বরাত দিয়ে সরকারি কৌসুলি আঞ্জুমান আরা বলেন- জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের এক মহিলা ঢাকায় গ্রার্মেন্টসের চাকরি করত। ঘটনার দুই বছর পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার সময় শামীমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শামীম বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ওই মহিলার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রেম, ভালবাসা ও বিয়ের প্রস্তাব দিত। ঘটনার ৬ মাস পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে শামীম ওই মহিলাকে কৌশলে একটি অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর দুই তিন মাস পরে আবারও একই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনা ওই মহিলা তার খালাকে জানায়। ঘটনার এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ওই মহিলার খালার বাড়িতে যায় শামীম এবং বিয়ের আশ্বাস দেয় এবং ওই দিন রাতে ওই মহিলার খালার বাড়িতে আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে বিয়ে না করে পালানোর সময় ওই মহিলার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ধরে ফেলে। ঘটনার পরের দিন ১১ এপ্রিল ওই মহিলা বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার ওই সময়ের এআই মো. মামুনুর রশিদ একই বছর ১০ জুন মো. আবু সাইম ওরফে শামীমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্য প্রমান ও শুনানি শেষে আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান সরকারি কৌসুলি আঞ্জুমান আরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-১০-১৯