সৎ শিশু পুত্রকে অপহরণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সৎ শিশুপুত্রকে অপহরণের দায়ে হালিমুজ্জামান রিপন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. শওকত আলী আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৬ সালের ৯ জুলাই সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার আদমপুর গড়পাড়া গ্রামের রেশমী বেগমের (৩১) বাড়ি থেকে রেশমীর প্রথম পক্ষের ৬ বছরের শিশুপুত্র আমির হামজা ওরফে জানিককে অপহরণ করে রেশমীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী হালিমুজ্জামান রিপন (৩১)। এরপর রিপন তার স্ত্রী রেশমীকে ফোন করে ছেলেকে বিক্রি করে দেয়া এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঙ্কের মুক্তিপণের টাকা দাবি করে। ঘটনাটি রেশমী পরদিন ১০ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে জানালে র্যাব তাৎক্ষণিক মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিপনের অবস্থান শনাক্ত করে।
এরপর ওইদিনই বিকেলে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা আন্তঃনগর ট্রেনে অভিযান চালিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে রিপনকে আটক ও অপহৃত শিশু আমির হামজাকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় ওইদিনই রেশমী তার স্বামী রিপনকে অভিযুক্ত করে ভোলাহাট থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভোলাহাট থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শিশির কুমার চক্রবর্তী ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট রিপনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
তিনি আরো জানান, এদিকে মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত রিপন পলাতক হলে ট্র্যাইবুনাল ৭ জনের সাক্ষী, প্রমাণ ও শুনানি শেষে রিপনকে দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার এ রায় প্রদান করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৭-০৯-১৯
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৬ সালের ৯ জুলাই সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার আদমপুর গড়পাড়া গ্রামের রেশমী বেগমের (৩১) বাড়ি থেকে রেশমীর প্রথম পক্ষের ৬ বছরের শিশুপুত্র আমির হামজা ওরফে জানিককে অপহরণ করে রেশমীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী হালিমুজ্জামান রিপন (৩১)। এরপর রিপন তার স্ত্রী রেশমীকে ফোন করে ছেলেকে বিক্রি করে দেয়া এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঙ্কের মুক্তিপণের টাকা দাবি করে। ঘটনাটি রেশমী পরদিন ১০ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে জানালে র্যাব তাৎক্ষণিক মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিপনের অবস্থান শনাক্ত করে।
এরপর ওইদিনই বিকেলে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা আন্তঃনগর ট্রেনে অভিযান চালিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে রিপনকে আটক ও অপহৃত শিশু আমির হামজাকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় ওইদিনই রেশমী তার স্বামী রিপনকে অভিযুক্ত করে ভোলাহাট থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভোলাহাট থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শিশির কুমার চক্রবর্তী ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট রিপনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
তিনি আরো জানান, এদিকে মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত রিপন পলাতক হলে ট্র্যাইবুনাল ৭ জনের সাক্ষী, প্রমাণ ও শুনানি শেষে রিপনকে দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার এ রায় প্রদান করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৭-০৯-১৯