যুবলীগ নেতা ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মনিরুল হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদন্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘী গ্রামের আখেরুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম, চতুরপুর গ্রামের তোহরুল ইসলাম ওরফে টুটুল, রসিকনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ও সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেন্টু, সাহাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, চরভবানীপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ, পারচৌকা গ্রামের মোহাম্মদ মাসুদ, ছত্রাজিতপুরে আব্দুস সালাম। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুইজন হলেনÑ মহারাজপুরে মাসুদ ওরফে লালচান ও রাজশাহীর বেলপুকুর গ্রামের পারুল বেগম।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৯ জনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমান করা হয়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুইজনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে একবছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মোঃ মাসুদ ও আব্দুস সালাম এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পারুল বেগম পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়ায় বালিয়াদিঘী গ্রামের সেলিম রেজা, বেনাউল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম ও ওবাইদুর রহমানকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় তারাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামকে তার শিয়ালমারা গ্রামের বাড়ি থেকে ওই সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলামসহ  অন্যরা দুপুর দেড়টায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, সিঅ্যা-এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা ভাগাভাগি ও ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়।
২০১৫ সালের ১৫ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান সিদ্দিকী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।
এদিকে রায়কে ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া নিহত মনিরুলের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ‘ স্বামী হত্যার বিচারের জন্য আমি দু’টা বাচ্চা নিয়ে হাটাহাটি করেছি। আজ যে রায় হয়েছে তাতে আমি সন্তোষ্ট। আমি দ্রুত রায় কার্যকরের আবেদন করছি’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-০৬-১৯

,