সর্তক না হলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা!

কোমলমতিদের খেয়ালি আচরণ থেকে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। খালি হয়ে যেতে পারে যেকোন মায়ের কোল। এমন শংকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ফকিরপাড়া এলাকায় (ফকিরপাড়া গোরস্থানের পেছনে) নির্মাণ হওয়া পানির ওভার হেড ট্যাংকিকে ঘিরে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ববধানে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভু উপরিস্থ পানি শোধগার নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যেই নির্মাণ করা হয় পানির এই ওভার হেড ট্যাংক।

নির্মাণের পর গতবছরের আগষ্ট মাসের দিকে ট্যাংকটি চালুও হয়েছে।

ট্যাংকের নির্মাণ কাজের মধ্যে থাকা রেলিং সিড়ি যা পানির ওভার হেড ট্যাংকের সমস্যা কিংবা সংস্কারের প্রয়োজনে যথাযথ (প্রশিক্ষিত) কর্মচারীর ব্যবহারের জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু সংযুক্ত রেলিং সিড়িটির প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত রয়েছে নির্মাণের পর থেকেই।


স্থানীয়রা জানায়, সিড়িটির প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত থাকায় এলাকার কোমলমতি শিশু কিশোররা প্রায়শই সিড়িবেয়ে উপরে উঠে পড়ছে। প্রচলিত ১০ তলা সমমাপের উচু পানির ওভার হেড ট্যাংকটিতে শিশু কিশোরদের অবাধ উঠা-নামা করার কারণে  তাদের জীবন ঝঁকির মধ্যে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘অবাধে শিশু কিশোররা উঠে পড়ার কারণে যেকোন সময় বড় ধরণে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে’। তারা অভিযোগ করেন বলেন, ‘এতো বড় পানির ট্যাংকি অথচ এখানে কোন কেয়ারটেকার নেই। নেই সিড়িমুখে কোন গেট’। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে  অরক্ষিত রেলিং সিড়ির প্রবেশদ্বারটিতে গেট নির্মণের দাবি জানান।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম জানান, পানির ট্যাংকিটি নির্মাণ শেষে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলেও পুরো একবছর তার রক্ষাবেক্ষণ কাজ করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরই। পানির ট্যাংকির সিড়ির গেট ও হুজরাপুরস্থ পানি শোধনাগারের পানি শোধনের জন্য নদীতে উত্তোলন করা পানি রিজার্ভারের চারিদিকে রেলিং নির্মাণের জন্য পত্র দিয়েছি। কিন্তু তা এখনও নির্মাণ হয়নি।

তিনি বলেন, পানির ট্যাংকির সিড়িতে গেট নির্মাণ কাজ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নির্মাণে বিলম্ব হলেও আমরাই ( পৌর কর্তৃপক্ষ) একটা গেট নির্মাণ করে ফেলবো’।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২২-০১-১৮ 

,