অবশেষে বিক্রি হয়ে গেল আটক উটগুলো

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ ও শিয়ালমারা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসার পথে আটক ৯ উট অবশেষে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। প্রকাশ্য নিলামে ৬২ ল ১০ হাজার টাকা দিয়ে ৯টি উট কেনেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শংকরবাটি মাঝপাড়া এলাকার আয়াত নূর ইসলাম। বুধবার দুপুরে শিবগঞ্জ কাস্টমস্ শুল্ক অফিসের পাশে আমবাগানে প্যান্ডেল টাঙিয়ে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাস্টমস্ কর্র্তপ, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি সদস্য, পশু সম্পদ বিভাগ ও গোয়েন্দা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দফায় ৩ টি উটের সর্বোচ্চ দাম হাকা হয় ২০ ল ৯০ হাজার টাকা, এরপর দ্বিতীয় দফায় ৬টি উটের সর্বোচ্চ দাম হাকা হয় ৪১ ল ২০ হাজার টাকা। সর্বমোট দাম হাকা হয় ৬২ ল ১০ হাজার টাকা।
শিবগঞ্জ শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, এর সাথে মূল্য সংযোজন কর ও এআইটি বাবদ ৯ ভাগ হারে যোগ হবে ৫ ল ৫৮ হাজার টাকাসহ সর্বমোট দাম পড়বে ৬৭ ল ৬৮ হাজার ৯০০ টাকা। নিলামে ঢাকা মিরপুর এলাকার ও চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডিপজলের ভাগ্নে রাইহানের প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়ে আয়াত নূর ইসলাম উটগুলি কেনেন বলে সূত্রে জানা যায়।  নিলামে ২৫০ জন নিলামে অংশ নেন বলে জানান আলমগীর হোসেন।
আটক ৯ উট নিলামে বিক্রির পর জবাই ও হত্যা না করে চিড়িযাখানায় হস্তান্তরের জোর দাবীতে গত ১৫ জানুয়ারী সোমবার মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। নিলামে বিক্রির পর উট জবাই ও হত্যা না করে চিড়িযাখানায় হস্তান্তরের জোর দাবী জানান হয় মানববন্ধন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। আটক উট চিড়িয়াখানায় পাঠাতে সরকার তেমন উদ্যোগ না নেয়ায় ােভ প্রকাশও করেন তারা। ২৪ জানুয়ারী বুধবার উট গুলি নিলামের সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপ। গত ১২ জানুয়ারী ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ ও শিয়ালমারা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চোরাকারবারীরা ৯ টি উট নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে শিবগঞ্জ থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়েরের পর শিবগঞ্জ কাস্টমস্ শুল্ক গুদামে জমা দেয়। ভারতের রাজস্থান থেকে ২০ ল টাকার বিনিময়ে একটি সিন্ডিকেট ১৫টি উট বাংলাদেশের একজনের জন্য নিয়ে আসার পর সীমান্তে বিজিবি‘র হাতে ১২ জানুয়ারী ৯টি উট আটক করা হয়। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়েরের পর শিবগঞ্জ কাস্টমস্ শুল্ক গুদামে ৯ টি উট জমা দেয়া হয়। মামলায় একটিতে ৮ জনের ও অপরটিতে ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ করে পলাতক দেখিয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে বিজিবি। মামলায় ৯ উটের দাম দেখানো হয় ৪৫ ল টাকা। ৎ

চাঁপাইবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৪-০১-১৮

,