আলাতুলির জঙ্গি আস্তানায় ‘তিন জঙ্গির’ ক্ষতবিক্ষত লাশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মার চর আলাতুলিতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে অভিযান শেষ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র্যাব)। ওই বাড়িতে তিন ‘জঙ্গির’ তবিত লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
দুপুরে ব্রিফিংয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, তিন ‘জঙ্গির’ তবিত লাশের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ি থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত হ্যান্ডগ্রেনেড, সাতটি ডেটোনেটর, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে বাড়িটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। ওই বাড়ির মালিক রাশিকুলের স্ত্রী নাজমা বেগম, নাজমার বাবা খোরশেদ আলম ও মা মিনারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এর আগে সকালে ওই বাড়ির মালিক রাশিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। তবে তিনি পাঘাতগ্রস্থ হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান, নিহতরা সবাই জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। র্যাবের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গতকাল সোমবার গভীর রাত থেকে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। রাতে মাইকে ‘জঙ্গিদের’ আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। ভেতর থেকে র্যাবকে ল্য করে গ্রেনেড ছোড়ে ‘জঙ্গিরা’। এ সময় বাড়ির ভেতরে তিন থেকে চারটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর খড়ের তৈরি বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
এদিকে, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) আনোয়ার লতিফ খান বলেন, গত অক্টোবরে রাজধানীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ আবদুল্লাহ নামের এক জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলাতুলী চরে নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে সে অনুযায়ী এখানে আজ ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
আলাতুলি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজাবাহুল হক বলেন, ওই বাড়ির মালিক রাশিকুল পেশায় একজন কৃষক, তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন গোদাগাড়ীতে। বছর চারেক আগে আলাতলিতে এসে খোলা ওই জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেন।
“কয়েক মাস আগে কয়েকজন লোক এসে খামার করার কথা বলে বাড়িটি ভাড়া নেয়। প্রায়ই অপরিচিত লোকজন সেখানে আসত। তবে আমরা কারও নাম জানি না।”
র্যাব জানায়, আটককুতরা প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন আগে দুজন পাখি দেখার কথা বলে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়িওয়ালা রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে থাকেন। চরের ওই বাড়িটি তাঁরা গরু-মহিষ রাখার কাজে ব্যবহার করতেন।
সকালে বাড়িটিতে ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ শুরু করে। র্যাব আরো জানায়, ‘জঙ্গি আস্তানাটির’ আশপাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কোনো বাড়িঘর নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-১১-১৭
দুপুরে ব্রিফিংয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, তিন ‘জঙ্গির’ তবিত লাশের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ি থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত হ্যান্ডগ্রেনেড, সাতটি ডেটোনেটর, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে বাড়িটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। ওই বাড়ির মালিক রাশিকুলের স্ত্রী নাজমা বেগম, নাজমার বাবা খোরশেদ আলম ও মা মিনারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এর আগে সকালে ওই বাড়ির মালিক রাশিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। তবে তিনি পাঘাতগ্রস্থ হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান, নিহতরা সবাই জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। র্যাবের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গতকাল সোমবার গভীর রাত থেকে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। রাতে মাইকে ‘জঙ্গিদের’ আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। ভেতর থেকে র্যাবকে ল্য করে গ্রেনেড ছোড়ে ‘জঙ্গিরা’। এ সময় বাড়ির ভেতরে তিন থেকে চারটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর খড়ের তৈরি বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
এদিকে, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) আনোয়ার লতিফ খান বলেন, গত অক্টোবরে রাজধানীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ আবদুল্লাহ নামের এক জঙ্গি নিহত হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলাতুলী চরে নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে সে অনুযায়ী এখানে আজ ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
আলাতুলি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজাবাহুল হক বলেন, ওই বাড়ির মালিক রাশিকুল পেশায় একজন কৃষক, তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন গোদাগাড়ীতে। বছর চারেক আগে আলাতলিতে এসে খোলা ওই জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেন।
“কয়েক মাস আগে কয়েকজন লোক এসে খামার করার কথা বলে বাড়িটি ভাড়া নেয়। প্রায়ই অপরিচিত লোকজন সেখানে আসত। তবে আমরা কারও নাম জানি না।”
র্যাব জানায়, আটককুতরা প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন আগে দুজন পাখি দেখার কথা বলে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়িওয়ালা রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে থাকেন। চরের ওই বাড়িটি তাঁরা গরু-মহিষ রাখার কাজে ব্যবহার করতেন।
সকালে বাড়িটিতে ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ শুরু করে। র্যাব আরো জানায়, ‘জঙ্গি আস্তানাটির’ আশপাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কোনো বাড়িঘর নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-১১-১৭