আবু’র লাশ পরিবারের নেয়া না নেয়া নিয়ে ধু¤্রজাল ❀ অবশেষে গ্রহণ এবং আবারও ফেরত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী শিবনগর এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধারের পর শুক্রবার দুপুরেই তা ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর আবু’র লাশ পরিবার গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী গ্রামের আবু’র পৈত্রিক বাড়িতে পুত্রশোকে অসুস্থ্য আবু’র মা ফুলসানা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ভাল ছিল। কিন্তু তার শ্বশুর ও তার স্ত্রীর কারণে জঙ্গি হয়েছে। তবুও প্রশাসনের দয়ায় যদি একবার ছেলের মুখখানা দেখতে পেতাম...’ এরপর তিনি মুর্ছা চলে যান।
আবু’র ছোট ভাই সবু’র স্ত্র¿ী রুনা আখতার বলেন, ‘ আমার গরিব মানুষ। এমন ঘটনায় মুখ দেখাতে পারিনা। পরিবারের সবাই লজ্জিত হয়ে পড়েছি। যেহেত আবু ও তার স্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক ছিলনা। এবাড়িতে আসলে কারো সঙ্গে কথা বলতো কাউকে মুখও দেখাতো না।  তারা অন্য লাইনে চলে গেছে। সেহেতু আবু’র লাশ আমরা কেন নিব। আবু’র লাশ গ্রহণ করবনা। তার স্ত্রী সুমাইয়াকেও গ্রহণ করবনা’। তিনি বলেন, ‘ যেহেতু শিশু কন্যা দুটি নিস্পাপ, সেহেতু তাদেরকে গ্রহণ করে নিজের সন্তানের মত মানুষ করে তুলবো’।
তবে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের কাছ থেকে আবু’র পরিবার লাশ গ্রহণ করে। পরিবারের পক্ষ থেকে আবু’র চাচা ইয়াসিন আলী লাশ গ্রহণ করে।
অন্যদিকে, পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত জেএমবি নেতা রফিকুল ইসলাম আবু’র চাচা ইয়াসিন আলীর কাছে আবু’র লাশ হস্তান্তরের মাত্র ১ ঘন্টার মাথায় সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ আবারও লাশ ফেরত নেয়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ চাচার কাছে লাশ হস্তান্তর নিরাপদ নয় বিধায় লাশ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবু’র পিতা বা ভাই লাশ গ্রহণ করলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে’। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক ও নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৮-০৪-১৭

,