শিবগঞ্জে লেবু চাষে সফল আওয়ামী লীগ নেতা খাদিমূল ইসলাম

লেবু চাষ করতে আমার খুবই ভাল লাগে। অনেক গুণের অধিকারী লেবু চাষ যখন শিবগঞ্জে দিনে দিনে কমে যাওয়ার পথে তখন এক বুন্ধুর উৎসাহে এবং তার কাছ থেকে উপহার পাওয়া ১শ লেবুর চারা রোপন করেছিলাম। ২০১০ সালে ৩৫ শতক জমিতে কাগচি, কাগচাসহ নাম না জানা নানান জাতের লেবুর চারা রোপন করেছিলাম। আজ আমার লেবুর বাগান লেবুতে ভরে গেছে। এখন দারুণ  লাভে ভরা লেবুর বাগান দেথে। কথাগুলো বলছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তেররশিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে খাদিমূল ইসলাম।
তিনি বলেন,  লেবুর বাগানে আমি নিজেই সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কাজ করি। ৯টার সময় দোকানে কেনাবেচা করার ফাঁকে ফাঁকেও চালায় বাগান পরিচর্যার কাজ। চারা রোপনের মাত্র ৪ বছর পর  গাছে লেবু ধরতে শুরু করে। প্রথমে শুধু নিজের ও আত্মীয়স্বজনের খাবার মত লেবু পেয়েছিলাম। পরের বছর ১২ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করেছি এবং সারা বছর খেয়েছি। তৃতীয় পর্যায়ে ২২ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করেছি। আশা করছি সামনে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করতে পারবো।
তিনি জানান, ৩৫ শতক জমিতে ১২ টি আম গাছও আছে। গত মৌসুমে ৬০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। আশা করা যায়, সামনে মৌসুমে শুধু আম থেকে ১ লাখ টাকা পাওয়া যাব। তিনি বলেন, ‘লেবু চাষে খরচ সীমিত ফলনও বেশী দাম ভাল পাওয়া যায়।এইভাবে আমি লেবু চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছি’।
লেবু চাষী ও আওয়ামী লীগ নেতা খাদিমুল ইসলাম জানান, লেবু চাষের জন্য তিনি কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননা। রাসায়নিক সারের যায়গায় জৈব সার প্রয়োগ করেন। এতে খরচ কম হয়। লাভের অংকও বাড়ে।
তিনি জানান, লেবু’র বহুগুন রয়েছে। এ থেকে অর্থনৈতিক মুক্তিও লাভ করা হয়। পাশাপাশি মানবদেহকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা পাওয়া যায়।
এব্যাপারে  শিবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অফিসের কর্মকর্তা আমিনুজ্জামান বলেন, ‘আমি খাদেমূল ইসলামের লেবু বাগান পরিদর্শন করেছি। তার লেবু বাগান থেকে তিনি শতভাগ স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আমরা এখনো শিবগঞ্জে লেবু চাষে কুষকদের মাঝে আশানুরূপ উৎসাহ সৃুষ্টি করতে পারেনি। কারণ শিবগঞ্জের মানুষ আম চাষে বেশী আগ্রহী। তবে আমের চেয়ে লেবু চাষে লাভ বেশী ও খরচও কম। আমরা চেষ্টাা করছি নতুন নতুন জাতের লেবু উদ্ভাবনের এবং লেবু চাষ সম্প্রসারণের’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৮-০৯-১৬