জঙ্গি বড় চ্যালেঞ্জ > চোখ কান খোলা রাখুন- পুলিশের আইজি শহীদুল হক

পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক বলেছেন এই সময়ে জঙ্গি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা জঙ্গি মোকাবেলায় জনগনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। জঙ্গি প্রতিরোধে সমাজিক সচেতনতা তৈরী করতে হবে। তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা চোখ কান খোলা রাখবেন। কারা জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে, আইনশৃংখলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন’।
তিনি শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত এলাকায় পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য ধ্বংসকালে সাংবাদিকদের এক কথা বলেন।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে পুলিশের আইজি বলেন, ‘যে মাদকাসক্ত হয় আর শেষ পরিণতি হয় মৃত্যু। এতে সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মাদক ব্যক্তি জীবন পারিবারিক জীবন ধ্বংস করে দেয়। এজন্য আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবার থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে’। তিনি বলেন, ‘এটি সীমান্ত অঞ্চল সরকারি তৎপরতায় সীমান্তের ওপারে অনেক মাদকের কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। তবে এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, কিছু রয়ে গেছে। ওই সব বন্ধে আমাদের ডিপ্লোমেটিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে’।
মাদক দ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়েল অধিকারী, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদুর রহমান ভুঞা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম।
এদিকে, মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠান শেষে পুলিশের আইজি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে যোগদান করেন। সেখানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি বলেন, জঙ্গীরা কথিত খেলাফতের নামে জিহাদ করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু জঙ্গীরা গুলি করে ও বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। একটি গ্রুপ ধর্মের নামে তাদের ভুল তথ্য দিয়ে মগজ ধোলায় করে অপব্যাবহার করেছে।  এসব মানুষকে দেশের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জঙ্গী প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, গুলশান ও নারায়নগঞ্জের অপারেশন পরিচালনার আগে আত্বসমাপর্নের জন্য জঙ্গীদের কয়েক ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে। এরপরেই পুলিশ অভিযান চালায়। এসব অভিযান পরিচালানায় কোন নাটক করা হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ^াস, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, বিএমডিএর চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দীন মন্ডল, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য সচিব নসম মাহবুবুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।
সমাবেশের আগে তিনি ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০২-০৯-১৬

,