বিনোদপুরের আম বাগান পাহারাদার রাসেল হত্যাকান্ডের ১০ ঘন্টার মধ্যে মিমাংসা!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরনগঞ্জ গ্রামে আম চুরির প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের পিটুনিতে নিহত হওয়ার মাত্র ১০ঘন্টা ব্যবধানে ‘রাসেল হত্যাকান্ডের’ আপস-মিমাংসা হয়ে গেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাসেলের চাচা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের মাঝেই প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে এই মিমাংসা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে শুক্রবার কথা হয় নিহত কিশোর রাসেলের মা এমেলী বেগম ও পিতা  মফিজ উদ্দিনের সাথে। তারা জানান, রাসেল একই গ্রামের মোহব্বতের কেনা আম বাগান দেখাশুনা করতো। সে আম বাগানে পার্শবর্তী বাক্কারে ছেলে ও জমিনপুর মাদ্রাসার ছাত্র হালিমের আম চুরির কথা বাগান মালিক মোহব্বতকে জানিয়ে দিবে বললে হালিম রাসেলকে দুই দফায় বেধড়ক পিটায়। এ সময় রাসেলের ভাগ্নি লিমা রাসেলের মাকে খবর দিলে সে ছুটে গিয়ে দেখে রাসেল রাস্তার উপর পড়ে আছে এবং রক্তবমি করছে। তাকে তুলে  এনে চিকিৎসার জন্য নিয়া যাবার পথে মারা যায়।
শিশু লিমা বলেন, ‘আমার মামাকে মারার সময় আমি জোড়হাত করে মানা করলেও হালিম শুনেনি’।
মফিজুল জানান, রাসেলের লাশ নিয়ে যাবার সময় পুলিশ সাদা কাগজে তার টিপসই নিয়েছে।
এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকা শোকাচ্ছন্ন থাকার মাঝে প্রভাশালী মহল আপস-মিমাংসা উদ্যেগে নেয়। ঘটনার মাত্র ১০ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্রামের আলতাফ উদ্দিনের বাড়িতে এই মিমাংসা করা হয়। সূত্র জানায়, নিহতের পরিবারকে ২ বিঘা জমি এবং ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি শালিসনামায় রাসেলের অভিভাবকের টিপসই নেয়া হয়। যা রাসেলের পিতা মফিজুল হকও স্বীকার করেছে। সে শালিসনামায় হালিমের অভিভাবকেরও স্বাক্ষর রয়েছে বলে ঐ সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে বিনোদপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘একটি সমঝোতার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও বিষয়টি চুড়ান্ত নয়’।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমজান আলী ও এসআই  শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, হত্যা ঘটনা কোনভাবেই গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করা যায়না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ০৬-০৮-১৬

,