বিষয় নির্ধারণের আবেদন করতে গিয়ে শিবগঞ্জে শিক্ষকের পিটুনি খেলেন দু’ শিক্ষার্থী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হুমায়ূন রেজা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে পিটুনি খেয়ে দু’ শিক্ষার্থী এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিক্ষার্থী’র পরিবারের অভিযোগ, পিটুনির অভিযোগ করে বিচার পাওয়া যায়নি বরং উল্টো প্রধান শিক্ষক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বিদায় করার হুমকী দিয়েছেন।
আহত দু’ শিক্ষার্থী হচ্ছে, রানীনগর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুম (১৪) ও সাতরশিয়া গ্রামের শওকাত আলীর ছেলে শাহাদাত আলী (১৪)। তারা দু’জনই নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২১ জুলাই পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদিরে কাছে বিষয় পবিবর্তনের জন্য মৌখিক আবেদন করা মাত্রই তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তারা বলেন, ‘স্যারের উত্তেজিত হওয়া দেখে আমার অফিস থেকে বেড়িয়ে গেলে আমাদের আবারও ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এসময় গালিগালাজও করেন’।
তারা বলেন, ‘না মারার জন্য স্যারকে বারবার অনুরোধ করার পরেও তিনি শোনেননি। বেধরক পিটিয়ে আহত করেছেন’।
অভিযোগ করা হয়েছে, গত এপ্রিল মাসে রেজিস্ট্রেশন করার সময় তারা বিষয় নির্ধারণ করেছিল উচ্চতর গণিত। কিন্তু সেখানে বিষয় হয়ে যায় কৃষি। তারা উচ্চুর গণিতে ফিরে আসতে চাইলে দু’ মাস আগে খরচ বাবদ ১শ টাকা ও ছবি নেয়া হয়। কিন্তু বিষয় সংশোধন হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে তারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পিটুনির শিকার হয়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকের পিটুনি খাওয়ার পর থেকে অসুস্থ হয়ে আছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেও বিচার পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বেয়াদবী করেছে তাই মেরেছি। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাহলে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট  দিয়ে বিদায় করে দেয়া হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৬-০৭-১৬

,