ইত্যাদি’র ইত্যাদি

১৪ মার্চ,২০১৬ তারিখ রাতে আমার ফেসবুক আইডি’র বন্ধু হওয়ার অনুরোধের দৃশ্যমান সংখ্যা ছিল মাত্র তিন জন (লাল বৃত্তের মধ্যে সাদা হরফে লেখা)। ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বন্ধু হওয়ার অনুরোধের তালিকাটি গিয়ে দাঁড়ায় ১৬৭ জনে। ভাবুনতো কী জনপ্রিয়তা। ঠিক যেন রাতারাতি ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হওয়ার মত অবস্থা। হটাৎ এতো মানুষের আগ্রহ, এতো ভালবাসা, এতোই জনপ্রিয়তা। আসলে তা আমার নয়... ইত্যাদি’র।
একটু ভেতর থেকেই বলা শুরু করি। তারিখটা ঠিক মনে নেই। তখন বেলা সাড়ে ১১টা কিংবা ১২টা। বিটিসিএল’র (ল্যান্ড ফোন) ০২৯১২----- নম্বর থেকে আমার সেল নম্বরে আসা কলটি গ্রহণ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে বললেন, ‘অলক ভাই, আমি ঢাকা থেকে মামুন বলছি, ইত্যাদি’র’। আমি বললাম, ‘ইত্যাদি? মানে হানিফ সংকেত?। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। অতপর কুশল বিনিময় শেষে তিনি জানালেন, ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইত্যাদি’র এবারের পর্ব হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। একথা শোনার পর আমিতো মহাখুশি। যেন মুর্হুতেই অনেক আবেগ ঘিরে ফেললো আমাকে। কথা বলছি মামুন’র সঙ্গে, আর চোখের সামনে ভাসছে হানিফ সংকেত’র নানান ঢং-এর নানান রং-এর ছবি। মামুন ভাই বললেন, ‘আপনাকে সহযোগিতা করতে হবে’। আমি বললাম, ‘ বলেন কি, আমার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইত্যাদি’র অনুষ্ঠান হবে এটা অনেক পাওয়া। অবশ্যই সহযোগিতা করবো। আমি নেশার মত আপনার সঙ্গে লেগে থাকবো’। তিনি একটু হেসে বললেন, ‘ডিসি সাহেবে’র সঙ্গে কথা বলা দরকার’। আমি ডিসি সাহেবের সেল নম্বর তাকে দিয়ে বললাম, ‘আপনি কানেক্ট করার চেষ্টা করেন। আর আমি যাচ্ছি গিয়ে আপনাকে কথা বলাচ্ছি’। এরই মাঝে তিনি তার সেল নম্বর ও ইমেল আইডি দিয়ে লোকেশনসহ কিছু বিষয় শেয়ার করে নিলেন। এর ৫/৬ দিন পর আবার সেই একই নম্বর থেকে ফোন। মামুন ভাই বললেন, ‘আগামী কাল আমরা একটি টিম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসছি’।
তারা আসলেন। চাঁপাইনবাগঞ্জের তিনটি লোকেশনের অনেকগুলো স্টিল ছবি ও ভিডিও ধারণ করলেন। ডিসি সাহেব, এসপি সাহেব ছুটিতে থাকায় (ভারত যাওয়ায়) এডিশনাল এসপি সাহেবে’র সঙ্গে আলাপ করলেন। এ সময়ের দু’টি ঘটনা উল্লেখ করার মত। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে (আম গবেষণা কেন্দ্রে) লোকেশনের খুটিনাটি বোঝার সময় মামুন ভাই এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করছিলেন, আম বাগানে থাকা সাইনবোর্ড গুলো সরানো যাবে কিনা। দেখুন ইত্যাদি’র প্রতি ওই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বললেন, ‘আপনারা যদি যায়গা চুড়ান্ত করেন, প্রয়োজনে এক/আধটা গাছও সরিয়ে নেয়া যাবে’।
পরের দিনের ঘটনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্যের তথ্য নিতে সরকরি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. মাযহারুল ইসলাম তরু’র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাড়ে ১২ টা বেজে গেল। তারপর জনাব তরু’র বই কিনতে গেলাম নিউ মার্কেটের কিশোর লাইব্রেরিতে। তখন বেলা ১টার কাছাকাছি এমন সময় ডেইলি স্টারের সাংবাদিক ডলার ভাই ফোন করে বললেন, ‘মেয়েগুলো কষ্ট করে বসে আছে ভাই’। ততক্ষণে আমার খেয়াল হল, আমার মেয়েদের স্কুলতো ছুটি হয়েগেছে সেই পৌণে ১২টায়। মামুন ভাই বিষয়টা শুনে একটু অনুযোগ করেই বললেন, ‘ আগে মেয়েদের রেখে আসেন তারপর বাকীকাজ গুলো করা যাবে’। তিনি প্রেসক্লাবের সামনে রাসেলের চায়ের দোকানে বসে থাকলেন আমি গেলাম আমার দু’মেয়েকে (জমজ) বাসায় রাখতে।
এবার আসি সেই জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গে। ওইদিন রাতে আমার ফেসবুক ওয়ালে ‘বাংলাদেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র এবারের পর্বটি হবে আমের ‘রাজধানী’ চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আসবেন হানিফ সংকেত...’ এমন কথা উল্লেখ করে ৪টি ছবি আপলোড করেছিলাম। পরের দিন সকালে বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিনের ব্যানার করার জন্য গেছিলাম মহানন্দা ডিজিটাল সাইন-এ। সেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করা ছোট ভাইয়েরা জানতে চাইলো, ‘ ভাই ইত্যাদি কখন, কোথায় হবে?’। আমি ঠিক কথার ছলে বললাম, ‘দিনক্ষণ আর যায়গা এখনও ঠিক হয়নি। তবে, আগামী মাসের (এপ্রিল মাসের) ১০ থেকে ১২ তারিখের দিকে আর কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে’। ব্যাস এটুকুই বলা। আমি ওখান থেকে চলে আসার পর তারা ডিজিটাল সাইনে থাকা ৪টি কম্পিউটারে চমৎকারভাবে হানিফ সংকেত, আম আর আম বাগান দিয়ে ছবি তৈরী করে আপলোড করে দেয় ফেসবুকে। আগের রাতে আমার আপলোড করা ৪টি ছবি আর ওদের গ্রাফিক্স ডিজাইন করা চমৎকার ইমেজ। রিতিমত ফেসবুকে ইত্যাদি ‘ঝড়’ শুরু হয়। রাতে নিজের ফেসবুক খুলে বুঝতে পারি ওই ঝড়ের ব্যাপকতা। শত শত ইতিবাচক মন্তব্য আর হাজারো উচ্ছাস। দেখলাম বন্ধু হওয়ার অনুরোধের তালিকাটাও ‘পাহাড় সমান’। এক অভাবনীয় ব্যাপার। আমি নিশ্চিত ইত্যাদি’র জনপ্রিয়তা, ইত্যাদি’র প্রতি মানুষের ভালবাসা’র ছোয়া লেগেছে ওই ‘ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট বক্সে’...
ইত্যাদি’র পাহাড় সমান জনপ্রিয়তা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনেক মধুর’র ঘটনার পাশাপাশি বিড়ম্বনাসহ অপ্রিয় ঘটনারও জন্ম দিয়েছে। জানিয়ে রাখি, ইত্যাদি’র এই আয়োজন নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সম্মানিত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন, এনডিসি আল ইমরান শুরু থেকেই অনেক ‘পজেটিভ’ ছিলেন। ৮ এপ্রিল দিন চুড়ান্ত হওয়ার পর তাঁরা চমৎকারভাবে আয়োজনটির একটি সফল সমাপ্তির দিকে নিয়ে গেছেন।
‘ইত্যাদি’কে ঘিরে চরম আগ্রহের কারণে কিশোর, তরুন, যুবক থেকে শুরু করে প্রবীণরাও ইত্যাদি’র আমন্ত্রণ পত্র পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানগতভাবে আমন্ত্রণ পত্র পেতে আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হলে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের হিড়িক পড়ে। মাত্র তিন দিনে জেলাজুড়ে প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তি নামের আবেদন পড়ে। আড়াই হাজার লোকের আয়োজন আর আবেদন ১০ হাজার জনের। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক সভা করেন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে। ওই সভায় ফাগুন অডিও ভিশনের মোহাম্মদ মামুন জানালেন আমন্ত্রণের সংখ্যা আরো ১ হাজার বাড়ানো যাবে। কিছুটা যেন স্বস্তি পাওয়া গেল। কিন্তু না, তাতেও কোনভাবে মেলানো গেল না। জেলা প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে আসনের সংখ্যা বাড়ানো হল। আর ডিসি সাহেব স্বাক্ষরিত আলাদা কার্ড ছাপানো হল। তবুও আমন্ত্রণ কার্ড পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা। এমনকি মিছিলের মত অনাকাংখিত ঘটনাও ঘটল। মিছিল করে বসলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হালিমা খাতুন। প্রভাবশালীদের মদদে হালিমার ওই মিছিল করার কারণের ঘটনাটি আমার সামনেই ঘটেছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আমন্ত্রণ কার্ড প্রত্যাশী কয়েক শ মানুষের ভীড়। ভেতরে ডিসি সাহেব, এডিসি সাহেবসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানে আমন্ত্রণ কার্ডের জন্য গেছেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হালিমা খাতুন ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা হক। ওই মুর্হুতে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ডিসি সাহেবের পাশেই। ডিসি সাহেব মহিলা আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুলতেই হালিমা খাতুন বললেন, ‘আমাদের আমন্ত্রণের আবেদন এডিসি স্যারকে জমা দিয়েছিলাম’। ওখানে থাকা এডিসি জেনারেল তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন ‘ আমাকে দিয়েছিলেন?’ হালিমা পাল্টা উত্তরে জোর দিয়ে বললেন, ‘আপনাকে দিয়েছিলাম। আপনার হাতেই দিয়েছিলাম। তার ফটোকপি আমার কাছেই আছে’। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে এডিসি জেনারেল বললেন, ‘ ডন্ট টেল এ লাই। মিথ্যা কথা একদম পছন্দ করিনা। আমার কাছে যতই আবেদন পড়েছে তার সবগুলোই ডিসি স্যারের সিন করা’। ওই সময় ডিসি সাহেব পরিস্থিতি শান্ত করে বললেন আপনাদের কতটি কার্ড লাগবে। শান্তনা হক জানালেন, দু’ সংগঠনের (মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ) নামে ২০টি দিলেই চলবে। ডিসি সাহেব ১০ টি কার্ড তাদের ধরিয়ে দিলেন। তারা ঘর থেকে বেড়িয়ে আসার সময় ডিসি সাহেব আবারও তাদের ডেকে আরো দুটি কার্ড দিলেন। ব্যাস, ঘটনা এটাই। পরের দিন মিছিল হল ‘এডিসি জেনারেল কর্তৃক মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে লাঞ্ছিত করা’র কথা উল্লেখ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটিতে একটা জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের আয়োজন। আর তাকে ঘিরেই ‘মিছিল’। এটা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের জন্য সুখকর ঘটনা হয়ে থাকলো না।
এই আমন্ত্রণ কার্ড নিয়ে অনেকেরই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেকের, অনেকের সঙ্গে সর্ম্পকের অবনতিও ঘটেছে। একটি রাজনৈতিক দলের এক নেতা বলছিলেন, তার দলের একনেতার ছেলে একটা কার্ডের জন্য তুলকালাম ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে। ভাই যে করেই হোক একটা কার্ডের ব্যবস্থা করতেই হবে। এক সহকর্মীতো আমার ফেসবুক পোষ্ট লাইক করেই যেন বিপদে পড়েন। লাইক করার কারণে ওই পোষ্টটি তার ওয়ালে চলে যাওয়ায় অসংখ্য আমন্ত্রণ কার্ড প্রত্যাশির চাপের মুখে পড়েন তিনি। আমন্ত্রণ কার্ড নিয়ে এমন বিড়ম্বনার কাহিনী লিখে শেষ করা যাবে না।
ইত্যাদি নিয়ে এরই মাঝে নানান অভিজ্ঞতা আমার ঝুলিকে ভারি করেছে। এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গর্ব নিয়ে ইত্যাদিতে স্থান পাওয়া তার একটি কর্মের কথা বলছিলেন। তখন মনে মনে বললাম, ‘আপনিতো মা’র কাছে মাসি’র গল্প বলছেন’।
যাক অবশেষে সেই সন্ধিদিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবশ্রোত যেন কল্যাণপুর মুখি। বিকেল থেকেই কল্যানপুর হর্টিকালচার সেন্টারের মেইন গেটের দু’ধারে হাজারো মানুষের দীর্ঘ লাইন। ভিতরে-বাইরে উৎসবের আমেজ। যেন এক মহামিলন কেন্দ্র। শিশুদের নিয়ে যাওয়া বারণ থাকলেও অনেকে সেই ‘বারণ’-এর বাঁধ ভেঙ্গে শিশুদেরও নিয়ে গেছেন ইত্যাদি উপভোগ করতে। কিন্তু কে জানতো এতো ঝক্কি ঝামেলা পোহানোর পর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সিংহভাগ মানুষই মন্তব্য করবেন ‘ইত্যাদি’র এই অনুষ্ঠান ঠিক যেন দিল্লীকা লাড্ডু। যে খেয়েছে সে পস্তিয়েছে। যে না খেয়েছে সেইও পস্তিয়েছে’।
আসলে যারা টেলিভিশনে পুর্ণাঙ্গ ইত্যাদি দেখেছেন তাদের কল্পনায় ছিল তারা আম বাগানে বসে বসে অনুরূপ অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। কিন্তু ১৫-২০ মিনিটের হাততালি দেয়ার প্রশিক্ষণ হবে। তারপর হো বলে চিৎকার হবে, সঙ্গে সঙ্গে হাততালি দেয়া শুরু করতে হবে। এমনটা অভিজ্ঞতাতো ছিলনা এখানকার মানুষদের। এই হাততালি’র কথা বলতেই বিটিভি’র আরেকটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ছে। তার নাম ছিল, জোড়াতালি। আমাদের এই হাততালিগুলোই ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জোড়াতালি লেগে পুর্ণাঙ্গতা পাবে এবং উপভোগ্য হবে এমনটাতো ধারণা ছিলনা। যেমনটা ধরুন, ঢাকার স্টুডিওতে একটা কৌতুক চিত্রায়িত হল এবং তা দেখানো হল। কৌতুক দেখানো শেষ, জোড়াতালি লেগে গেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাততালি... পর্দায় ফিরে এলেন প্রিয় মানুষ হানিফ সংকেত নতুন কিছু উপস্থাপনের জন্য। এই হাততালিগুলোই জোড়াতালি লাগবে অনেক উপস্থাপনের পরপরই। ইত্যাদি হবে উপভোগ্য।
তিন ঘন্টার কিছু বেশি সময় ধরে ধারণ হওয়া আয়োজনগুলো ছিল টক-ঝাল-মিষ্টি’র মত। কারো টক ভাল লেগেছেতো ঝাল অসহ্য। কারো মিষ্টি ভাল গেলেছেতো, টক ভাল লাগেনি। তবুও বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিদের সেরাদের তালিকায় শীর্ষে থাকা হানিফ সংকেতকে কাছ থেকে অবলোকন করার সুযোগ। আর সেই সঙ্গে ইত্যাদি’র মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবার সুযোগ সেটাতো আমাদের জন্য কম প্রাপ্তি নয়।
দেখুন, ইত্যাদি কিন্ত আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের একটা ‘আন্দোলন’-এ সামিল হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটির কারণে সুস্বাদু ও রসালো আম উৎপাদনের খ্যাতি ছিল ভারতবর্ষের মালদা অঞ্চলের। দেশ বিভাগের পর সেই খ্যাতি চলে আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘরে। সেজন্য প্রাচীনকাল থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জকে চেনা যায় আম দিয়েই। ইত্যাদির সংগতি-অসংগতি পর্বে নানী-নাতি সে বিষয়টা অনেকটাই পরিস্কার করেছেন। শুধু তাই নয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজারো বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর কৃতিমান মানুষ, নতুন প্রজন্মসহ অনেকের কাছেই যেগুলো ছিল অচেনা অজানা সেগুলো দারুনভাবে ফুটে আসবে। সেজন্য আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি’র পর্দায়। ধন্যবাদ, হানিফ সংকেত, ধন্যবাদ ইত্যাদিকে...