সোনামসজিদ স্থল বন্দরে পাথরের পর এবার সব পণ্য আমদানী বন্ধ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে একদিন পাথর আমাদানী বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে সব ধরণের পণ্য আমদানী বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানীকারকরা। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের নিম্নমানের পাথর সরবরাহের প্রতিবাদে এ বছরে দ্বিতীয় দফায় পাথর আমদানী বন্ধের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য আমাদানী বন্ধ হয়ে যাওয়া সোনামসজিদ স্থল বন্দরে সৃষ্টি স্থবিরতা। গত দু’দিনে সরকার বঞ্ছিত হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে পাথরের ব্যাপক চাহিদাকে পুজি ভারতীয় রপ্তানীকারকরা দফায় দাম বৃদ্ধিসহ নি¤œমানের পাথর সরবরাহ শুরু করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  সোনামসজিদ স্থল বন্দও আমাদানীকারক গ্রুপ পাথর আমদানী বন্ধ ঘোষণা করে। ওই সময় ৫ দিন পাথর আমদানী বন্ধ থাকার পর ভারতের মোহদনীপুর এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন ও সোনামসজিদ আমদানীকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ যৌথ বৈঠকে সমঝোতা হলে আবারও শুরু হয় পাথর আমদানী। সোনামসজিদ স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, মোহদিপুর এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন ও সোনামসজিদ আমদানিকারক গ্রুপের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিচ্ছন্ন পাথর সরবরাহ, টনের পরিবর্তে সিএফটিতে ওজন এবং মূল্য কমার ব্যাপারে একমত হলেও পরে তারা বাস্তবায়ন করেননি। প্রেক্ষিতে রোববার থেকে আবারও পাথর আমদানী বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে একদিন পাথর আমদানী বন্ধ রাখার পর সোমবার সোনামসজিদ বন্দরে বন্ধ করে দেয়া হয় সবধরণের পণ্য আমাদানী। প্রতিদিন সোনামসজিদ বন্দরে পাথরসহ অন্যান্য পণ্যের প্রায় সাড়ে ৪ ট্রাক ঢুকলেও সোমবার কোনই ট্রাক ঢুকেনি। ফলে বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে স্থবিরতা। ব্যহত হচ্ছে সরকারের রাজস্ব আয়ও।
সোনামসজিদ শুল্ক বন্দরের সহকারী কমিশনার সাঈদ আহম্মেদ রুবেল বলেন, ‘আমাদানীকারক ও রপ্তানীকারকদের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার কারণে বন্দরে পণ্য আমদানী বন্ধ রয়েছে। সোনামসজিদ বন্দরে প্রতিদিন শুধু পাথর আমদানী থেকেই প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হতো। সোমবার সব পণ্য আমাদানী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়নি’। তবে তিনি জানান, আলাপ আলোচনায় শীগ্রই সংকট কেটে যাবে এবং বন্দরের বাণিজ্যের পরিমাণের সঙ্গে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বাড়বে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ ওপারের (ভারতের) একটি সিন্ডিকেট আমদানীকারকদের জিম্মি করে সুবিধা নিতে চাচ্ছে। এরপরেও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমি আমাদানীকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং তাদেরকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে বলেছি। আশা করা যায় দু’ একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৭-০৩-১৬

,