শিবগঞ্জের নিখোঁজ সেই প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে বেতন তোলার ঘটনায় তদন্ত কমিটির চিঠি গায়েবের অভিযোগ



চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নিখোঁজ প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে  বেতন ভাতা উত্তোলনের ঘটনায় মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে স্বাক্ষর জালকারী চক্র প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  গত ৯ ফেব্রুয়ারী মাধ্যমিক  ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষরিত একটি পত্র সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের উপজেলার সোনামসজিদ গৌড় বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিখোঁজ প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে বেতন ভাতা উত্তোলন শিরোনামে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের নির্দেশে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি প্রেরন করেন। যার অনুলিপি বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষাঅফিসারকেও দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, নিখোঁজ থাকা প্রধান শিক্ষক জিন্নুর রহমানের চিঠিটি ধামাচাপা দেন।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের মোতাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার গত ৩ মার্চ সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কাউকে না পেয়ে ফিরে যান।   এ ব্যাপারে নিখোঁজ হওয়া প্রধান শিক্ষক জিন্নুর রহমান বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম আমাকে হেনস্ত করার জন্য চিঠিটি গোপন রাখে এবং তদন্ত দল ফিরে যাবার পর আমার কাছে হস্তান্তর করে’। তিনি বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে জেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি’। তিনি জানান জেলা শিক্ষা অফিসার পুনরায় আগামী  ৯মার্চ  তদন্ত করার দিন ধার্য করেন । এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ যে,  গত ৩০ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কাজে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। তার ব্যবহারিত ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়ায় ১২ ডিসেম্বর থানায় জিডি করেন। এ ঘটনার পর গত ৮ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির স্বাক্ষরিত একটি বিলের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে ৭১হাজার ৭৫৭টাকা বেতন ভাতা উত্তোলন করেন বিদ্যালযের শিক্ষকরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক,শিবগঞ্জ/ ০৭-০৩-১৬

,