ঝুঁকি’র শংকা থাকলেও সোনামসজিদ বন্দরে শুরু হয়নি জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রম

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদে এখনও কাজ আরম্ভ করেনি জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণে মেডিকেল টিম। এতে করে সীমান্তে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্কের মাত্রা বেড়ে চলেছে। আর ভারত থেকে আগত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অনায়াসে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে।
জানা গেছে, দক্ষিন আমেরিকার পর সর্বশেষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমাঞ্চল জিকা ভাইরাসের ঝুঁকির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ভারতের বাঙ্গালুর ও পশ্চিমাঞ্চলের উপকুলীয় শহরগুলোতে ভারত সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করেছে। আর এসব শহরের পাশ^বর্তী এলাকা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ফলে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায়ই ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে আসা রোগী, পণ্যবাহী ট্রাকের চালক, হেলপার, ব্যবসায়ীসহ ১ হাজারেরও বেশি লোক ভারত যাওয়া আসা করায় বাংলাদেশেও জিকা ভাইরাসের ঝুঁকির আশংকা করা হচ্ছে। এ আশঙ্কা থেকে ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে অন্যান্য স্থলবন্দর। কিন্তু সোনামসজিদ স্থললবন্দরে এখন পর্যন্ত মেডিকেল টিমের কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সাধারণ মানুষরা।
এ ব্যাপাওে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার কর্মকার জানান, জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণে এখন পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিস থেকে মেডিকেল টিম গঠনের কোন নির্দেশনা পাইনি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. প্রধান মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওযা যায়নি এবং এ দেশে এ ভাইরাসের ঝুঁকিও কম। তারপরও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে জন্য মেডিক্যাল টিম গঠন করা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১১-০২-১৬