নাচোলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রারের

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাব-রেজিস্ট্রার ফারহানা আজিজের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে না আসা, অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক দলিল লেখক আইনমন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, যোগদানের পর ব্যাপক অনিয়ম দূর করেছেন বলে দাবি সাব রেজিস্ট্রারের।
অভিযোগে জানা গেছে, গতবছর ২০ সেপ্টেম্বর নাচোল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন ফারহানা আজিজ। যোগদানের পর থেকেই তিনি ঘুষ ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি না করায় দলিল লেখকদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দাতা-গ্রহিতা এবং দলিল লেখকরা। অভিযোগে আরো জানা যায়, সরকারি ফি ছাড়া কবলা দলিলে ৮০০ টাকা, দানপত্র দলিলে ১৬০০ টাকা করে ঘুষ নিয়ে থাকেন ফারজানা আজিজ। ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দলিল ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। এছাড়াও তিনি নিয়মিত অফিস না করা এবং দেরিতে অফিস আসার কারণে দলিল রেজিস্ট্রির কাজে চরম বিঘœ ঘটে।
সাব-রেজিস্ট্রার ফারজানা আজিজের এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে গত বুধবার দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম আইনমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাব-রেজিস্ট্রারের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়েই অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত করলে এর সত্যতা পাবেন।’
তবে, দলিল লেখক আমিনুল ইসলামের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার ফারহানা অজিজ। মুঠোফোনে তিনি জানান, নাচোলে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাটোর জেলার বনপাড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সপ্তাহে ৩ দিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিনি দাবি করে বলেন, নাচোলে যোগ দেয়ার পর থেকেই এখানকার সব অনিয়ম দূর করেছেন। তিনি আরো বলেন, নাচোল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম গত মঙ্গলবার ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে জমি রেজিস্ট্রির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে আমার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, নাচোল/ ১১-০২-১৬

,