নাচোলে কলেজছাত্রীকে হত্যাচেষ্টাকারী শিবির কর্মী! > নাশকতার মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মাসুমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে আহত করার মূলহোতা পুলিশী সনাক্তের মধ্যে চলে এসেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে হামলাকারী সর্ম্পকে। পুলিশ বলছে, মাসুমাকে ছুরিকাঘাতকারী ওই সন্ত্রাসী শিবির কর্মী। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাও রয়েছে। নাচোল পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে। 
নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফাসির উদ্দীন জানান, ঘটনার পর অনুসন্ধানে নেমে পুলিশ হামলাকারীর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে হামলাকারী সর্ম্পকে। কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সাহাপাড়া গ্রামের আবদুল ওহাবের বন্ধু ওই হামলাকারী। সে নাচোলের একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। ওই মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করার পর হামলাকারী রাজশাহীতে থাকেন। নাচোল ও রাজশাহীতে সে শিরিবের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে রাজনৈতিক সহিংসতাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাকে ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ। ওসি ফাসির উদ্দীন বলেন, ‘খুব শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা যাবে’।
ওই হামলাকারীর নাম পরিচয় তদন্তের স্বার্থে না উল্লেখ করে তিনি জানান, হামলাকারী ঘটনার দিন ভোরে অথবা আগের দিন রাতে নাচোল আসে এবং কলেজছাত্রীর উপর হামলা করে আবারো রাজশাহী চলে যায়। পুলিশ তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছে।
নাচোলের ফতেপুর ইউনিয়নের শিংরই গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে ও নাচোল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুনকে পার্শ্ববর্তী সাহাপাড়া গ্রামের আবদুল ওহাব বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কলেজছাত্রীর পরিবার থেকে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়। ওহাবে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মাদ্রাসা ছাত্র ওহাবসহ তার বন্ধুরা। সূত্র জানায়, বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর সেলফোনে নানাভাবে হুমকী প্রদান করে আসছিল তারা। এমনকি প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে এলাকায় কুৎসা রটানও হয়েছিল।
এদিকে, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই কলেজছাত্রীর শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। তবে শরীরের ১৫ স্থানে ক্ষত থাকায় এখনো সে অসুস্থ্য।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে নাচোল কলেজে প্রাইভেট টিউশন নিতে যাওয়ার সময় শিংরইল খাড়ির পার্শ্বে দুর্বৃত্ত ওই কলেজছাত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাকে হত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। এতে মারাত্মক জখম হয়ে তিনি নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ ঘটনার পর নাচোল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে এবং হামলাকারীর গ্রেফতারের দাবি জানায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৩-০২-১৬

,