গৌড় সোনামসজিদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রহস্যজনক নিখোঁজ > তবুও উঠে গেল বেতন-ভাতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের গৌড় সোনামসজিদ বি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নুর রহমান এক মাস ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে নিখোঁজ প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই ঐ স্কুলের শিক্ষকদের নভেম্বর মাসের বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর বিদ্যালয়ের কাজের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে কানসাট থেকে নাইট কোচে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। জিন্নুর রহমানের ব্যবহৃত ০১৭১৭-০৮৮৭৯৫ মোবাইল নম্বরটিও সেদিন থেকে বন্ধ পাওয়া যায় এবং বাড়ির সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে গত ১২ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ থানায় তার ছেলে একটি সাধারণ ডাইরি করে। যার নম্বর ৪৯৫।
জিন্নুর রহমানের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, এর আগে গত বছরের ২৯ এপ্রিল খোদ জিন্নুর রহমান তার স্কুলের সহকর্মী সহকারী শিক্ষক সাদিকুল ইসলামকে দায়ি করে সাধারণ ডাইরি করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘সাদেকুল ইসলাম তাকে (প্রধান শিক্ষককে) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে’।
এদিকে প্রধান শিক্ষক নিখোঁজ থাকার মাঝেই প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ৩০ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক নিখোঁজ হলেও গত ০৮ ডিসেম্বর সভাপতি ও  প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত একটি বিল তৈরি করে সোনালী ব্যাংক শিবগঞ্জ শাখা থেকে ৭১ হাজার ৭শ’ ৫৭ টাকা শিক্ষকদের বেতনভাতা বাবদ উত্তোলন করেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নভেম্বর মাসের বিলে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ছাড়াই তার কাছে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য বেতন বিলের কাগজ আনা হলে তিনি প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে তারপর তার স্বাক্ষর নেয়ার কথা বলেন। এতে তারা ফিরে যান। শিক্ষকরা বেতনবিল ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে আর স্বাক্ষর না নিয়ে কিভাবে নভেম্বর মাসের বেতন উত্তোলন করলেন তা তার বোধগম্য নয়।
স্থানীয়রা জানায়, জানায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের সাথে সহকারী শিক্ষকদের একটি অন্তদ্বন্দ্ব ও বিরোধ চলে আসছে। তবে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুর হোসেন, সাদিকুল ইসলাম, মোবারক হোসেন ও আবদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কোন বিরোধ নেই উল্লেখ করে বলেন, গেল বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের নিখোঁজের বিষয়টি তারা অবহিত হয়েছেন। তারা মনে করেন প্রধান শিক্ষক অসুস্থ থাকায় তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন’।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মঈনুল ইসলাম বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক ঢাকা গেছে এবং ঢাকা থেকে আর ফিরে আসেননি এ সংক্রান্ত একটি জিডি হয়েছে মাত্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ০৫-০১-১৬

,