সোনাপুরের স্কুল বন্ধ ১ বছর ধরে

সোনাপুর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগ্ঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম। ছোট ছোট কয়েকটি পাড়া নিয়ে সীমান্তবর্তী এ গ্রাম। যেখানে তিন হাজারেরও বেশী জনগনের বসবার। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ। তাও আবার দীর্ঘ এক বছর ধরে। বন্ধ স্কুলের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবহত হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
সরজমিনে সোনাপুর গ্রামে গিয়ে জানা গেছে,  ২০১০ সালে সরকার সারা দেশে ১ হাজার ৫শ টি সরকারী বিদ্যালয় স্থাপনের একটি প্রকল্পের মধ্যে স্থাপিত ১ হাজার ২শটি বিদ্যালয়ের  মধ্যে ৪টি বিদ্যলয় স্থাপিত হয় শিবগঞ্জে। বিদ্যালয়গুলো হলো শাহাবাজপুর নাতোর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়. সোনাপুর গোপালপুর সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয়. পাকা ইউনিয়নাধীন নিশিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরবিশরশিয়া কালূপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়গুলিতে ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভবন নির্মান হলেও সোনাপুর গোপালপুর ছাড়া বাকী তিনটি বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত শিক্ষাক্রম চালু হয়নি। সোনাপুর গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ৪জন বেকার যুবক  দিয়ে প্রায় ৩শ শিশু শিক্ষার্থী ভর্তি করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন। এলাকাবাসীর আশা ছিল বিদ্যালয়টিতে এ ৪ জনই নিয়োগ পাবেন।  কিন্তু ২০১৪ সালের সরকারের অধ্যাদেশ বলে ঐ বিদ্যালয়ে সরাসরি সরকারীভাবে শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার সংবাদ পেয়ে তারা ছিটকে পড়ে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রায় ৩শ শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। সচেতন ও বিত্তবান কয়েকজন অভিভাবক তড়িঘড়ি করে তাদের শিশু সন্তানদের বাড়ি ৩ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের বিভিন্ন বিদালয় ও মাদ্রাসায় ভর্তি  করে। কিন্তু বেশীর ভাগ শিশু শ্ক্ষিার্থীর বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকার গৃহবধু আমেনা বেগম জানান, ২০১৪ সালে  আমার  ছেলে আমিনুল ( ১০)কে ৪র্থ শ্রেণীতে ভর্তি করে। কিন্তু বছরের শেষ দিকে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি থেকে প্রায় ৩/৪কিলোমিটার দূরে পিরোজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার পর প্রতিদিনই আমার স্বামীর সাথে বিদ্যালয় পাঠাতে হয় এবং ছুটির সময় আবারো  নিয়ে আসতে হয়। শুধু আমেনাই নয় ্এলাকার দুলাল, তাজিমুল, মতিউর, বাবুল, জালাল, দুলালী, নাজমা,মারুফা সহ শতাধিক পুরুষ মহিলা জানান, বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকার কারণে আমাদের শিশুরা শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  কেউ কেউ ৩ হতে ৬ কিলোমিটার দূরে ভর্তি করলেও যাতায়াত খরচ ও নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রতিদিন বিদ্যারয় পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইউসুফ আলি ভুঁঞা জানান, শুধু সোনাপুর গোপালপুর নয়, উপজেলায় এধরনের ৪টি ব্যিালয় আছে। সবকয়টি চালু করা হবে। তিনি আরো জানান অগ্রধিকা ভিত্তিতে ২০১৬ সালের জানুয়ারী  মাস থেকে সোনাপুর গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।

চাঁপাইনবাবঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-১২-১৫

,