শিবগঞ্জে অস্ত্র নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল প্রেমিক যুবকের
পরকীয়া প্রেমের জের ধরে পিস্তল নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রেমিক। নিহত প্রেমিক যুবকের নাম গাজলুর রহমান (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবগত রাত পৌনে দু’টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের টোকনা গ্রামে। নিহত গাজলু’র বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামে। সে আবু বাক্কারের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে। এর আগে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাবার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনাকষা ইউনিয়নের টোকনা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল বাশিরের স্ত্রী নাঈমা বেগমের সঙ্গে গাজলু’র প্রেমের সর্ম্পক ছিল অনেক আগে থেকেই। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে রাত পৌনে দু’টার দিকে গাজলু অস্ত্রসহ বাশিরের বাড়িতে ঢুকে। এ সময় বাশিরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে বাশির চিৎকার শুরু করে। বাশিরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গাজলুকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত গাজলুকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার সোয়া ৯টার দিকে সে মারা যায়।
বাশিরের চাচাতো ভাই আব্দুর রাকিব বলেন, ‘গভীর রাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে বাশিরকে হত্যা কিংবা অস্ত্রের মুখে বাশিরের স্ত্রী নাঈমাকে অপহরণ করতে এসেছিল গাজলু। বাশিরের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে গাজলুকে ধরে ফেলতে পারলেও অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়’। তিনি বলেন, নাঈমার সঙ্গে গাজলু’র দীর্ঘ দিনের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এর আগে ( আড়াই মাস আগে ) এক সন্তানের জননী নাঈমা গাজলু’র সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডাইরিও করা হয়। পরে পুলিশী হস্তক্ষেপে ও গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে নাঈমা ফিরে আসে স্বামী বাশিরের ঘরে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, পরকীয়া প্রেমের জের ধরেই গাজুল পিস্তল নিয়ে বাশিরের বাড়িতে ঢুকেছিল। অস্ত্রের মুখে বাশির জিম্মি করার সময় সে চিৎকার করলে গাজলু এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। বাশিরের চিৎকার ও গুলির শব্দে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে গাজুলকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় গাজলুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘গাজলু’র কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়’।
ওসি জানান, নিহত গাজলুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নিজস্ব প্রতিবেদক শিবগঞ্জ/ ১৬-০৯-১৫
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনাকষা ইউনিয়নের টোকনা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল বাশিরের স্ত্রী নাঈমা বেগমের সঙ্গে গাজলু’র প্রেমের সর্ম্পক ছিল অনেক আগে থেকেই। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে রাত পৌনে দু’টার দিকে গাজলু অস্ত্রসহ বাশিরের বাড়িতে ঢুকে। এ সময় বাশিরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে বাশির চিৎকার শুরু করে। বাশিরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গাজলুকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত গাজলুকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার সোয়া ৯টার দিকে সে মারা যায়।
বাশিরের চাচাতো ভাই আব্দুর রাকিব বলেন, ‘গভীর রাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে বাশিরকে হত্যা কিংবা অস্ত্রের মুখে বাশিরের স্ত্রী নাঈমাকে অপহরণ করতে এসেছিল গাজলু। বাশিরের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে গাজলুকে ধরে ফেলতে পারলেও অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়’। তিনি বলেন, নাঈমার সঙ্গে গাজলু’র দীর্ঘ দিনের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এর আগে ( আড়াই মাস আগে ) এক সন্তানের জননী নাঈমা গাজলু’র সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডাইরিও করা হয়। পরে পুলিশী হস্তক্ষেপে ও গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে নাঈমা ফিরে আসে স্বামী বাশিরের ঘরে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, পরকীয়া প্রেমের জের ধরেই গাজুল পিস্তল নিয়ে বাশিরের বাড়িতে ঢুকেছিল। অস্ত্রের মুখে বাশির জিম্মি করার সময় সে চিৎকার করলে গাজলু এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। বাশিরের চিৎকার ও গুলির শব্দে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে গাজুলকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় গাজলুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘গাজলু’র কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়’।
ওসি জানান, নিহত গাজলুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নিজস্ব প্রতিবেদক শিবগঞ্জ/ ১৬-০৯-১৫