রাবি শিক্ষক সমিতি > সরকারের বিরুদ্ধে নয় মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন-

 আমাদের আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলন। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না, আন্দোলন করছি আমাদের মর্যাদা আদায়ের।’ অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমুল্যায়ন করার প্রতিবাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল ঘোষণার দাবিতে রোববার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকরা এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শিক্ষকগণ বলেন, মাত্র একদিনের মাথায় অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চান। একথা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শিক্ষকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে শিক্ষক-ছাত্রদের অবদানের কথা জানিয়ে বলেন, ক’জন সচিব স্বাধীনতা ও অন্যান্য যুদ্ধে অবদান রেখেছে, কতজন শহীদের নাম আছে? অথচ, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, শহীদ হয়েছে। আগামী ১৭ তারিখে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ছয় মাস লাগাতার আন্দোলন করতে বাধ্য হব। আমরা চাই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে। কিন্তু ক্লাশ-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আমাদেরকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান বক্তারা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর মো. হাবীবুর রহমান, প্রফেসর মো. ফিরোজ আলম, প্রফেসর মোশাররফ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, সহকারী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি/ ১৩-০৯-১৫