রাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট
প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতনকাঠামো পূন:নির্ধারনের দাবিতে কর্মবিরতি, অবস্থান ধর্মঘট ও ৮ দফা দাবি পেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রোববার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে এই অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়।
রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রেজাউল করিম বাদলের সঞ্চালনায় ও সভাপতি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শাতিল মেরাজ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর কাজী জাহিদুর রহমান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শাহিদুল হক, আইন বিভাগের শিক্ষক সাইদুর জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বহুল অনাকাক্সিক্ষত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ যে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয় আমাদের মনে হয়েছে এই পে-কমিশন রিপোর্ট তৈরীর সাথে জড়িত সচিবগণ অপকৌশল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদার অবমাননা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেতন স্কেল সচিবদের থেকে দুই ধাপ নামিয়ে এনেছেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর দাবিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এভাবে অবমূল্যয়ন করার চেষ্টা অত্যন্ত দু:খজনক, এটি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। আমরা অবিলম্বে এই অনাকাঙিক্ষত প্রস্তাব পূনর্বিবেচনা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। এলক্ষে আমাদের সুনির্দিষ্টি প্রস্তাবগুলো হচ্ছে:
অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা পদায়িত সচিবদের সমান করতে হবে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যসমূহের বেতন-ভাতা ও মর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান করতে হবে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অব্যাহত রাখতে হবে, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন-কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারিত করতে হবে, প্রত্যেক ধাপে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য যে সুযোগ সুবিধা(গাড়ি, টেলিফোন ইত্যাদি) প্রদেয় তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও নিশ্চিত করতে হবে, সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে -স্কেল প্রবর্তন করতে হবে, ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বেতন ও চাকুরি কমিশন ২০১৩-এর প্রতিবেদন উদ্ধিৃত “সরকারের অনুদানের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো যুক্তিযুক্ত হবেনা” অংশটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি/ ০৯-০৮-১৫
রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রেজাউল করিম বাদলের সঞ্চালনায় ও সভাপতি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শাতিল মেরাজ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর কাজী জাহিদুর রহমান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শাহিদুল হক, আইন বিভাগের শিক্ষক সাইদুর জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বহুল অনাকাক্সিক্ষত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ যে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয় আমাদের মনে হয়েছে এই পে-কমিশন রিপোর্ট তৈরীর সাথে জড়িত সচিবগণ অপকৌশল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদার অবমাননা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেতন স্কেল সচিবদের থেকে দুই ধাপ নামিয়ে এনেছেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর দাবিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এভাবে অবমূল্যয়ন করার চেষ্টা অত্যন্ত দু:খজনক, এটি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। আমরা অবিলম্বে এই অনাকাঙিক্ষত প্রস্তাব পূনর্বিবেচনা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। এলক্ষে আমাদের সুনির্দিষ্টি প্রস্তাবগুলো হচ্ছে:
অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা পদায়িত সচিবদের সমান করতে হবে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যসমূহের বেতন-ভাতা ও মর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান করতে হবে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অব্যাহত রাখতে হবে, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন-কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারিত করতে হবে, প্রত্যেক ধাপে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য যে সুযোগ সুবিধা(গাড়ি, টেলিফোন ইত্যাদি) প্রদেয় তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও নিশ্চিত করতে হবে, সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে -স্কেল প্রবর্তন করতে হবে, ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বেতন ও চাকুরি কমিশন ২০১৩-এর প্রতিবেদন উদ্ধিৃত “সরকারের অনুদানের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো যুক্তিযুক্ত হবেনা” অংশটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি/ ০৯-০৮-১৫