নার্সিং ইনস্টিটিউটে নতুন মাইক্রোবাস > ‘ঘোড়া আছে লাগাম নেই’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কাজে যাতায়াত সুবিধার জন্য চালক ছাড়াই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে একটি আধুনিক মাইক্রোবাস। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মাইক্রোবাসটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হলেও তা শিক্ষার্থীদের কোনই কাজে আসছেনা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় প্রশিক্ষণ কাজসহ দুর্যোগকালীন যাতায়াতের দীর্ঘ অসুবিধার কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ১৪ আসন বিশিষ্ট একটি আধুনিক মাইক্রোবাস বরাদ্দ দেয়া হয়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই মাইক্রোবাসটি রোববার নার্সিং ইনস্টিটিউট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মতিয়ার বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আলাউদ্দীন, বিএমএ’র সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলার রাব্বানী ফটিকের উপস্থিতিতে চালকবিহীন মাইক্রোবাসের চাবি তুলে দেয়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের সেবা পরিদপ্তরের বরাদ্দ করা এই মাইক্রোবাসটি চালানোর জন্য সেবা পরিদপ্তরেরই একটি চালক পদ রয়েছে। কিন্তু সেই পদটি দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য রয়েছে। ওই শুণ্যপদ পুরণ না করেই মাইক্রোবাস দিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে মাইক্রোবাসটি নিয়ে জটিতলতার মুখে পড়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই সূত্র জানিয়েছে, মাইক্রোবাসটির জ্বালানীসহ রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব সেবা পরিদপ্তরের। কিন্তু চালক না থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাইক্রোবাসটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শংকা রয়েছে।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বাস্থ বিভাগের জন্য চালকসহ ৬২ জন কর্মচারী নিয়োগের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রাণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে, ওই প্রস্তাবনা পাস হলেও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মাইক্রোবাসের নিয়ন্ত্রণ সিভিল সার্জন অফিসের না হওয়া কোন লাভ হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চালক ছাড়া মাইক্রোবাস প্রদান একটি হাস্যকর ব্যাপার’।
এব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মাইক্রোবাসটি বরাদ্দ হওয়ায় আমাদের একটি অর্জন। তবে এ ঘটনা আমাদের বিব্রতকর অবস্থার মুখে ফেলেছে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আলাউদ্দীন বলেন, এটি একটি সমস্যা। মাইক্রোবাসটি নিয়মিত না চালালে তা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমাদের জনবলের সমস্যা রয়েছে। তবে স্থানের চালককে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে মাইক্রোবাসটি সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৩-০৮-১৫