মর্দনায় ককটেল বিষ্ফোরণে উড়ে গেল শিশু হাতের আঙ্গুল
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মর্দনা গ্রামে সাবেক কমিশনার সফিকুল ইসলাম পাসবান ও বর্তমান কমিশনার আব্দুস সালাম ২ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে দীর্ঘদিনের দ্বন্দের জের ধরে সোমবার ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনায় আরাফাত আলী জনি (৫) নামে এক শিশু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরাফাতের ডান হাতের একটি আঙ্গুল উড়ে গেছে। এ ঘটনাকে ঘিরে মর্দনা এলাকায় আবারো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম পাসবান ও বর্তমান কমিশনার আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালামের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দীর্ঘদিনের এই দ্বন্দ্ব গত দু’ মাস ধরে প্রকট আকার ধারণ করে। এ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলাসহ উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হয় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প। এরই মাঝে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মর্দনা গ্রামের আরাফাতের বাড়ির সামনের একটি টিউবয়েলের পার্শ্বে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আরাফাত মারাত্মকভাবে আহত হয়। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায় এবং ডান হাতের একটা আঙ্গুল উড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আরাফাতকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত আরাফাতের পিতা আজম আলী সফিকুল ইসলাম পাসবান গ্রুপের সদস্য। সে পাসবানের চাচাতো ভাই।
এ ঘটনাকে ঘিরে সফিকুল ও সালাম গ্রুপ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। আরাফাতের পিতা আজম আলীর সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ এখন ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। সালাম গ্রুপের লোকজন বাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়ে আরাফাতকে আহত করেছে’। তবে, সালাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ এমনিতেই আমার লোকজন পাসবান গ্রুপের নির্যাতনেএলাকা ছাড়া হয়ে আছে। আমাদের উপর হামলা করার জন্য পাসবানের ভাইয়ের বাড়িতে মওজুদ রাখা বোমা বিষ্ফোরণেই এ দূর্ঘটনা ঘটেছে’।
দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যাওয়া শিবগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ওসমান গনি বলেন, ‘ দূর্ঘটনাস্থলটি ঘন বসতি এলাকা নয়। বাগানের মধ্যে ফাঁকা ফাঁকা বাড়িঘর রয়েছে। সকালে শিশুটি বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের টিউবয়েলের সামনে খেলা করছিল। এ সময় ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে দেখতে পায়নি। ককটেলটি শিশুটির হাতের মধ্যেই বিষ্ফোরিত হয়’।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়েই এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
এদিকে, ককটেল বিষ্ফোরণে শিশু আহত হবার পর এলাকায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে, এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১০-০৮-১৫
স্থানীয়রা জানায়, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম পাসবান ও বর্তমান কমিশনার আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালামের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দীর্ঘদিনের এই দ্বন্দ্ব গত দু’ মাস ধরে প্রকট আকার ধারণ করে। এ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলাসহ উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হয় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প। এরই মাঝে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মর্দনা গ্রামের আরাফাতের বাড়ির সামনের একটি টিউবয়েলের পার্শ্বে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আরাফাত মারাত্মকভাবে আহত হয়। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায় এবং ডান হাতের একটা আঙ্গুল উড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আরাফাতকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত আরাফাতের পিতা আজম আলী সফিকুল ইসলাম পাসবান গ্রুপের সদস্য। সে পাসবানের চাচাতো ভাই।
এ ঘটনাকে ঘিরে সফিকুল ও সালাম গ্রুপ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। আরাফাতের পিতা আজম আলীর সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ এখন ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। সালাম গ্রুপের লোকজন বাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়ে আরাফাতকে আহত করেছে’। তবে, সালাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ এমনিতেই আমার লোকজন পাসবান গ্রুপের নির্যাতনেএলাকা ছাড়া হয়ে আছে। আমাদের উপর হামলা করার জন্য পাসবানের ভাইয়ের বাড়িতে মওজুদ রাখা বোমা বিষ্ফোরণেই এ দূর্ঘটনা ঘটেছে’।
দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যাওয়া শিবগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ওসমান গনি বলেন, ‘ দূর্ঘটনাস্থলটি ঘন বসতি এলাকা নয়। বাগানের মধ্যে ফাঁকা ফাঁকা বাড়িঘর রয়েছে। সকালে শিশুটি বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের টিউবয়েলের সামনে খেলা করছিল। এ সময় ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে দেখতে পায়নি। ককটেলটি শিশুটির হাতের মধ্যেই বিষ্ফোরিত হয়’।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়েই এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
এদিকে, ককটেল বিষ্ফোরণে শিশু আহত হবার পর এলাকায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে, এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১০-০৮-১৫