কালবৈশাখী > হতাশা বাড়িয়েছে ভোলাহাটের চাষীদের

ভোলাহাট উপজেলার মানুষ ধান ও আমের উপর নির্ভশীল। কিন্তু কাল বৈশাখীর থাবায় মাঠের ধান মাঠে এবং গাছের আম প্রচুর পরিমাণ ঝরে পড়ায় হতাশ এখানকার মানুষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৩ হাজার ৪৯৯ একর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। চাষ হওয়া জমির ধান চার ভাগের এক ভাগ কৃষক ঘরে তুলতে পারলেও বাকী তিন ভাগ ধান কাল বৈশাখী দফায় দফায় আঘাত হানায় জমিতে পড়ে থাকা কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হওয়ার পথে।  কেউ কেউ কাল বৈশাখীর থাবা থেকে বাঁচতে কাটা ধান বেঁধে স্তুপ স্তুপ করে রেখেছেন। কবে কাটা ধান ঘরে তুলে আনন্দেও হাসি হাসবে এমন প্রত্যাশায় বোরো চাষিরা।
এদিকে ২হাজার ১৫০ একর আম বাগানে পুরুষ মুকুল বেশী আশায় আমের গুঠি কম এসেছে। তারপর দফায় দফায় কাল বৈশাখীর আক্রমণে ঝরেছে প্রচুর আম। এরই ধারা বাহিকতায় রবিবার রাতে হানা দেয়া কাল বৈশাখীতে ভেঙ্গেছে অনেক আম গাছের ডালপালা ঝরেছে প্রচুর পরিমাণ আম। সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসে ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে ফড়িয়াদের আম ক্রয় করতে। আম ব্যবসায়ী বেলাল, রহিম, কালাম, কুরবান জানান, উপজেলায় প্রায় ১ শত মে:টন আম রবিবার রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঝরেছে। এতে আম ব্যবসায়ীরা চরম ভাবে হতাশ। ঝরে যাওয়া আমগুলো বস্তা প্যাকেট করে আমের আচার ও আমজাত নানা পণ্য তৈরীর জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে বলে ফড়িয়ারা জানায়। তারা আরো জানায়, সোমবার ঝরে পড়া প্রায় ১শত মে:টন আম বোঝায় ২৫/৩০টি ট্রাক ভোলাহাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলাহাট/ ১১-০৫-১৫