বাংলাদেশে ঢুকে প্রাণ গেল পাগলা হাতির
হাতি। সেতো আর বোঝেনা কিংবা ধারও ধারে না সীমান্ত রেখার। ওপারে অস্ত্রহাতে বিএসএফ আর এপারে বিজিবি। অস্ত্র আর এ দু’ বাহিনীর তোয়াক্কা না করেই সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পরেছিল ভারতের এক পাগলা হাতি। তারপর হাতির পারা (পা) পড়তে থাকলো একের পর এক ফসলী জমিতে। দূর থেকে পাগলা হাতির আচরণ দেখে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে চরম আত্মংক। অতঃপর ফেরত পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে মেরে ফেলা হল হাতিটিকে। এর জন্য ‘খরচ’ হয় ৩৪ রাউন্ড গুলি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মনোহরপুর বিওপি কমান্ডার সুবেদার আবদুল জাব্বার জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভারত থেকে পাগলা হাতিটি মাসুদপুর সীমান্তের নদী পথে এসে প্রথমে দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে প্রবেশ করে। তারপর হাতিটি ওই এলাকার বোরো ইরি ধানের আবাদী জমিতে ঢুকে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি শুরু করে।
এলাকাবাসী জানায়, হাতিটির খাবার হিসেবে কলাগাছ দিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। মশাল জ্বালিয়ে হাতিটিকে একবার নদীর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে হাতিটি একবার শান্ত হয় তো আরেকবার অশান্ত হয়ে উঠে। অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এতে স্থানীয় জনসাধারণ আত্মংকিত হয়ে পরে এবং নিরাপদে সরে আসে।
বিজিবি’র ৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে, কর্ণেল আবু জাফর শেখ মোহাম্মদ বজলুল হক ও মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জন প্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সম্মেলিতভাবে লাঠিসোঠা, মশাল জ্বালিয়ে এবং ঢোল বাজিয়ে চেষ্টা করা হয় হাতিটিকে ফেরত পাঠানোর। কিন্তু এতে হাতিটি আরো অশান্ত হয়ে উঠে গ্রামের দিকে লোকালয়ে চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আফাজ উদ্দীনের উপস্থিতিতে বিজিবি ও পুলিশ গুলি করে হাতিটিকে হত্যা করে। মোট ৩৪ রাউন্ড গুলি করে সেটিকে হত্যা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফাজ উদ্দীন বলেন, ‘ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সেটিকে হত্যা করা হয়’।
বিজিবি সুত্র জানায়, বিষয়টি বিএসএফকেও জানানো হয়।
সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়া হাতিটিকে মেরে ফেলার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই সেখানেই পুতে ফেলা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২০-০৪-১৫
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মনোহরপুর বিওপি কমান্ডার সুবেদার আবদুল জাব্বার জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভারত থেকে পাগলা হাতিটি মাসুদপুর সীমান্তের নদী পথে এসে প্রথমে দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে প্রবেশ করে। তারপর হাতিটি ওই এলাকার বোরো ইরি ধানের আবাদী জমিতে ঢুকে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি শুরু করে।
এলাকাবাসী জানায়, হাতিটির খাবার হিসেবে কলাগাছ দিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। মশাল জ্বালিয়ে হাতিটিকে একবার নদীর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে হাতিটি একবার শান্ত হয় তো আরেকবার অশান্ত হয়ে উঠে। অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এতে স্থানীয় জনসাধারণ আত্মংকিত হয়ে পরে এবং নিরাপদে সরে আসে।
বিজিবি’র ৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে, কর্ণেল আবু জাফর শেখ মোহাম্মদ বজলুল হক ও মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জন প্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সম্মেলিতভাবে লাঠিসোঠা, মশাল জ্বালিয়ে এবং ঢোল বাজিয়ে চেষ্টা করা হয় হাতিটিকে ফেরত পাঠানোর। কিন্তু এতে হাতিটি আরো অশান্ত হয়ে উঠে গ্রামের দিকে লোকালয়ে চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আফাজ উদ্দীনের উপস্থিতিতে বিজিবি ও পুলিশ গুলি করে হাতিটিকে হত্যা করে। মোট ৩৪ রাউন্ড গুলি করে সেটিকে হত্যা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফাজ উদ্দীন বলেন, ‘ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সেটিকে হত্যা করা হয়’।
বিজিবি সুত্র জানায়, বিষয়টি বিএসএফকেও জানানো হয়।
সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকে পড়া হাতিটিকে মেরে ফেলার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই সেখানেই পুতে ফেলা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২০-০৪-১৫