বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘মাটি’ হলে গেল বৈশাখী আনন্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের সরকারি হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলা বৈশাখী মেলার শনিবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে গেছে। নির্ধারিত সাংস্কৃতিক কর্মসুচির প্রথমটি শেষ হবার আগেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পন্ড হয়ে যায় বাকি কর্মসুচি। ফলে মূল মঞ্চে সাংস্কৃতিক কর্মসুচি উপভোগ করা শত শত দর্শককে ফিরে যেতে হয়েছে বৈশাখী আনন্দ ‘মাটি’ করেই। 
দর্শনার্থীরা জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে মেলার মূল মঞ্চে শুরু হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী আলকাপ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐহিত্যের শীর্ষে থাকা এই আলকাপ পরিবেশন করছিলেন ফিটু সরকার ও তার দল। বন্দনা আর গানে গানে যখন আলকাপ জমে উঠেছিল তখনই ঘটে বিপত্তি। পৌনে ৫টার দিকে হটাৎকরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় মঞ্চের শব্দ ব্যবস্থা। বন্ধ হয়ে যায় আলকাপ। 
দর্শনার্থীরা জানায়, মনমুগ্ধকর আলকাপ উপভোগ করার জন্য অনেক দর্শক র্দীঘক্ষণ মঞ্চেই বিদ্যুতের অপেক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু বিদ্যুৎ আর আসেনি। বিদ্যুৎহীন মঞ্চে আয়োজকরা যখন শব্দযন্ত্রগুলি খুলতে শুরু করে তখন নিরাস হয়ে দর্শকরা ফিরে যায়। 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের তত্ববধান করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মিল্টন চন্দ্র রায়। তাকে সহযোগিতা করছেন সাংস্কৃতিক কর্মী আলাউদ্দীন, আমিনুল ইসলাম আবির ও আবুল কাশেম অনু। ওই সূত্র জানায়, প্রথমে তিন দিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে করা হয় সাত দিনের। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয় সাংস্কৃতিক কর্মসুচিও। শনিবার আলকাপ’র পর মুর্ছনা, স্বরবর্ণ ও মহানন্দা সঙ্গিত নিকেতনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করার কথা ছিল। সেই সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল কবিতা আবৃতিও। কিন্তু এগুলোর কোনটাই হতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে। 
মেলার সাংস্কৃতিক কর্মসুচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই সূত্র জানায়, যেহেতু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সেহেতু বাকী কর্মসুচি পন্ড করেই সাড়ে ৫টার পর থেকে মঞ্চের শব্দযন্ত্রগুলো খোলা শুরু করা হয়।     
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মঞ্চের ‘বৈশাখী আনন্দ’ উপভোগ থেকে বঞ্ছিত দর্শকরা ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছেন, ‘ এতবড় আয়োজন। অথচ মঞ্চের জন্য একটা জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ওই সময় বিদ্যুৎ আসবে কি আসবেনা মঞ্চ থেকে যথাযথ বক্তব্যও পাওয়া যাচ্ছিলনা’। 
এদিকে, বিভ্রাটের কারণ জানার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করে ওই নম্বরটি ‘ব্যস্ত’ পাওয়া গেছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০৪-১৭

,