শিবির অধ্যুষিত এলাকায় ফোনে ডেকে নিয়ে শিবির কর্মীকে খুন (বিস্তারিত ভিডিওসহ)
চাঁপাইনববাবগঞ্জ শহরের ফুলকুড়ি ইসলামী একাডেমি এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে আরিফুল ইসলাম (১৭) নামের এক শিবির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহত আফির চাঁপাইনবাবঞ্জ সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রেহায়চর হটাৎপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। দিনের বেলায় জামায়াত শিবির অধ্যুষিত এই জনবহুল এলাকায় ছাত্র কুপিয়ে হত্যার ঘটনা এলাকায় চঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সকাল ৯টার দিকে ফুলকুড়ি ইসলামী একাডেমির পেছনে আরিফ হত্যাকান্ডের শিকার হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রমজান আলীর ছেলে আরিফ দীর্ঘ দিন ধরে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবিরের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ আরিফ শিবিরের কর্মী ও সিটি কলেজ শাখার দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিল’।
সূত্র জানায়, শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এবং নাশকতার অভিযোগে পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার আটক হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগেও সে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আবারও ধরা পড়েছিল। ২০/২২ দিন আগে সে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে। ওই সূত্র জানায়, আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর আরিফ শিবিরের রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়েগেছিল।
আরিফের ভাই শামিমও জানায়, ‘রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া কথা’।
নিহত আরিফের বড় ভাই জামাল হোসেন বলেন, ‘ অন্যান্য দিনের মত সকালে কলেজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে যায় আরিফ। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কলেজে পরীক্ষা আছে বলে জানিয়েছিল’। আরিফের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আহাজারি করা আরেক ভাই শামীম হোসেন বলেন, ‘সকালে নাস্তা করার সময় ওর (আরিফের) মোবাইলে কে ফোন করে ফুলকুড়ির পেছনে ডেকে নেয়। আরিফের মোবাইল ফোনটা ওর পকেটেই আছে সেটা দেখেন কে ফোন করে তাকে ডেকেছিল’।
কলেজে পরীক্ষা বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি কলেজে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক বলেন, ‘ বৃহস্পতিবার কলেজে প্রথম বর্ষের কোন পরীক্ষা ছিলনা। উপবৃত্তির টাকা নেয়ার শেষ দিন ছিল। আরিফ উপবৃত্তির টাকা পেয়ে আসছিল। হয়তো উপবৃত্তির টাকা নেয়ার জন্যই সে কলেজে আসছিল’।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডকে পুলিশ শিবিরের আভ্যন্তরিণ দ্বন্দের জের বলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোর্তুজা বলেন, ‘আভ্যবÍরিণ দ্বন্দ্বের জের ধরে আফিরে সহযোগীরাই ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার গলায়, হাতে ও পায়ে ধারলো অস্ত্র দিনে কোপানো হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে’। তবে, শিবিরের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ সরকারের সারাদেশে গুম-খুনের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে’।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্র ঘোষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গণ মিছিলের মধ্যে আরিফ হত্যার ্িবচার চাওয়া সম্বলিত ব্যানার নিয়ে জামায়াত অংশ নিয়েছে।
অন্যদিকে, রাতে শিবিরের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সেক্রেটারী তোহরুল ইসলাম সোহেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আরিফুল ইসলাম আরিফকে মুখোশধারী ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে’।
পুলিশ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম জানান, বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৩-১৫
সকাল ৯টার দিকে ফুলকুড়ি ইসলামী একাডেমির পেছনে আরিফ হত্যাকান্ডের শিকার হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রমজান আলীর ছেলে আরিফ দীর্ঘ দিন ধরে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবিরের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ আরিফ শিবিরের কর্মী ও সিটি কলেজ শাখার দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিল’।
সূত্র জানায়, শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে এবং নাশকতার অভিযোগে পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার আটক হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগেও সে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আবারও ধরা পড়েছিল। ২০/২২ দিন আগে সে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে। ওই সূত্র জানায়, আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর আরিফ শিবিরের রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়েগেছিল।
আরিফের ভাই শামিমও জানায়, ‘রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া কথা’।
নিহত আরিফের বড় ভাই জামাল হোসেন বলেন, ‘ অন্যান্য দিনের মত সকালে কলেজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে যায় আরিফ। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কলেজে পরীক্ষা আছে বলে জানিয়েছিল’। আরিফের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আহাজারি করা আরেক ভাই শামীম হোসেন বলেন, ‘সকালে নাস্তা করার সময় ওর (আরিফের) মোবাইলে কে ফোন করে ফুলকুড়ির পেছনে ডেকে নেয়। আরিফের মোবাইল ফোনটা ওর পকেটেই আছে সেটা দেখেন কে ফোন করে তাকে ডেকেছিল’।
কলেজে পরীক্ষা বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি কলেজে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক বলেন, ‘ বৃহস্পতিবার কলেজে প্রথম বর্ষের কোন পরীক্ষা ছিলনা। উপবৃত্তির টাকা নেয়ার শেষ দিন ছিল। আরিফ উপবৃত্তির টাকা পেয়ে আসছিল। হয়তো উপবৃত্তির টাকা নেয়ার জন্যই সে কলেজে আসছিল’।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডকে পুলিশ শিবিরের আভ্যন্তরিণ দ্বন্দের জের বলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোর্তুজা বলেন, ‘আভ্যবÍরিণ দ্বন্দ্বের জের ধরে আফিরে সহযোগীরাই ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার গলায়, হাতে ও পায়ে ধারলো অস্ত্র দিনে কোপানো হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে’। তবে, শিবিরের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ সরকারের সারাদেশে গুম-খুনের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে’।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্র ঘোষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের গণ মিছিলের মধ্যে আরিফ হত্যার ্িবচার চাওয়া সম্বলিত ব্যানার নিয়ে জামায়াত অংশ নিয়েছে।
অন্যদিকে, রাতে শিবিরের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সেক্রেটারী তোহরুল ইসলাম সোহেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আরিফুল ইসলাম আরিফকে মুখোশধারী ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে’।
পুলিশ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম জানান, বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৩-১৫