রাজশাহীতে সংঘর্ষ নিহত ১

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।
নিহত ব্যক্তিকে নিজেদের কর্মী দাবি করে মঙ্গলবার রাজশাহী জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, নিহত আব্দুল মজিদ চারঘাটের সলুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা জেলায় হরতাল পালিত হবে।

পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বানেশ্বর বাজার এলাকায় থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।

নিহত আব্দুল মজিদ (৪৫) চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের খয়মুদ্দিনের ছেলে। বানেশ্বর বাজারে তার দোকান রয়েছে।

সংঘর্ষের সময় দোকান বন্ধ করে দ্রুত পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে জানান হাফিজ।

পরিদর্শক হাফিজুর জানান, বিকালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বানেশ্বর ট্রাফিক মোড়ে সমাবেশ করছিলেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বানেশ্বর বাজার থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করে ট্রাফিক মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়ায়।

"বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।"

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বলে হাফিজ জানান।

এদিকে, ব্যবসায়ী মজিদকে আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা।

তিনি বলেন, মজিদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলে আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।

বিএনপির লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে মাঝখানে পড়ে মজিদ মারা যান বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সামাদ।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সৌজন্যে বিডি নিউজ/ ০৫-০১-১৫