অবরোধে থমকে গেছে সোনামসজিদ স্থল বন্দর ॥ শনিবার কোনই আমদানী হয়নি
বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর সোনামসজিদ স্থল বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের পানামা ইয়ার্ডে আটকা পড়ে আছে প্রায় ৪ শ পণ্যবাহী ট্রাক। আর সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতের মহদীপুর স্থল বন্দরে এক হাজারেরও বেশী ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।
সোনামসজিদ স্থল বন্দরের পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপক জগন্নাথ কুমার সাহা জানান, শনিবার ৮টি মিলিয়ে অবরোধের ৫ দিনে মাত্র ৯৩ টি কাঁচা পণ্যের ট্রাক আইন শৃংখলা বাহিনীর পাহারায় বন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে বন্দরে এক রকম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ২৫টি পেয়াজ, ১২টি ফল ও একটি আদা ভর্তি ট্রাকসহ বেশ কিছু পণ্যভর্তি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও শনিবার বন্দরে কোনই আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম হয়নি। তিনি জানান, সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতে মহদীপুরে এক হাজারের বেশী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, পণ্য পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারার কারণে আমদানীকারকরা আমদানী পণ্য বন্দরে নিয়ে ছাড় করাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আমদানীকারক বলেন, বহু টাকা দিয়ে পণ্য আমদানী করে নিয়ে এসে বসে আছি। ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাড়তেই আছে। অথচ পণ্য নিয়ে যেতে পারছিনা। রাস্তায় ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া ও ভাঙ্গচুর করার কারণে বন্দরে ট্রাকই পাওয়া যাচ্ছেনা।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, অবরোধের বাধার কারণে সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে ব্যবসা করা আমদানী রপ্তানীকারকরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এদিকে, অবরোধের পঞ্চম দিনে সোনামসজিদ স্থল বন্দর থেকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসার সময় শনিবার শিবগঞ্জের কানসাটে আবারও অবরোধকারীদের হামলার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি ট্রাক ভাঙ্গচুর ও এক ট্রাক হেলপার আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোনামসজিদ স্থল বন্দরে আটকে পড়া ১১টি পণ্যবাহী ট্রাক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় ছেড়ে আসে। সকাল ১০টার দিকে ট্রাকগুলি কানসাটের গোপালনগর মোড়ের কাছে এসে পৌছলে অবরোধকারীরা ককটেল হামলা চালায়। এতে সোহেল রানা নামে এক ট্রাক হেলপার আহত ও কয়েকটি ভাঙ্গচুর হয়। এ সময় আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এর আগে গত বহস্পতিবার পিয়াজসহ ৮১ টি পন্যবাহী ট্রাক বন্দর থেকে ছেড়ে আসার সময় পথে পথে অবরোধকারীদের হামলার মুখে পড়ে। ওই দিন ৩ টি ট্রাকে আগুন, অন্তত ১৫টি ট্রাক ভাঙ্গচুর করা হয়। ওই ঘটনায় আহত এক পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১০-০১-১৫
সোনামসজিদ স্থল বন্দরের পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপক জগন্নাথ কুমার সাহা জানান, শনিবার ৮টি মিলিয়ে অবরোধের ৫ দিনে মাত্র ৯৩ টি কাঁচা পণ্যের ট্রাক আইন শৃংখলা বাহিনীর পাহারায় বন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে বন্দরে এক রকম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ২৫টি পেয়াজ, ১২টি ফল ও একটি আদা ভর্তি ট্রাকসহ বেশ কিছু পণ্যভর্তি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও শনিবার বন্দরে কোনই আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম হয়নি। তিনি জানান, সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতে মহদীপুরে এক হাজারের বেশী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, পণ্য পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারার কারণে আমদানীকারকরা আমদানী পণ্য বন্দরে নিয়ে ছাড় করাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আমদানীকারক বলেন, বহু টাকা দিয়ে পণ্য আমদানী করে নিয়ে এসে বসে আছি। ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাড়তেই আছে। অথচ পণ্য নিয়ে যেতে পারছিনা। রাস্তায় ট্রাক পুড়িয়ে দেয়া ও ভাঙ্গচুর করার কারণে বন্দরে ট্রাকই পাওয়া যাচ্ছেনা।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, অবরোধের বাধার কারণে সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে ব্যবসা করা আমদানী রপ্তানীকারকরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এদিকে, অবরোধের পঞ্চম দিনে সোনামসজিদ স্থল বন্দর থেকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আসার সময় শনিবার শিবগঞ্জের কানসাটে আবারও অবরোধকারীদের হামলার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি ট্রাক ভাঙ্গচুর ও এক ট্রাক হেলপার আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোনামসজিদ স্থল বন্দরে আটকে পড়া ১১টি পণ্যবাহী ট্রাক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় ছেড়ে আসে। সকাল ১০টার দিকে ট্রাকগুলি কানসাটের গোপালনগর মোড়ের কাছে এসে পৌছলে অবরোধকারীরা ককটেল হামলা চালায়। এতে সোহেল রানা নামে এক ট্রাক হেলপার আহত ও কয়েকটি ভাঙ্গচুর হয়। এ সময় আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এর আগে গত বহস্পতিবার পিয়াজসহ ৮১ টি পন্যবাহী ট্রাক বন্দর থেকে ছেড়ে আসার সময় পথে পথে অবরোধকারীদের হামলার মুখে পড়ে। ওই দিন ৩ টি ট্রাকে আগুন, অন্তত ১৫টি ট্রাক ভাঙ্গচুর করা হয়। ওই ঘটনায় আহত এক পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১০-০১-১৫