জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন> পদ দখলে মাঠে মামা-ভাগ্নে, চাচা-ভাতিজা ও জামাই শশুড়
দীর্ঘ ৩৫ বছরের মাথায় হটাৎকরেই ব্যাপক উজানে উঠা চাঁপাইনবাবগঞ্জ আওয়ামীলীগের আজ মঙ্গলবার জেলা সম্মেলন। গত দু’ মাসে কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে জেলাজুড়ে তেমন প্রচার প্রাচারণা না থাকলেও শেষ মূর্হুতে সম্মেলনস্থল সরকারি হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদ দখলে মাঠে কাজ করছেন মামা-ভাগ্নে, চাচা-ভাতিজা ও জামাই-শশুড়সহ সংসদ সদস্যরা। দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শেষ মূর্হুতে নাটকীয় পরিবর্তন না হলে সভাপতি পদে লড়াই হবে জেলা আওয়ামীলীগের র্বতমান সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামসুল হকের। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তাফা বিশ্বাসের।
দলীয় সূত্র জানায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই আওয়ামীলীগের জন্য ‘অনুর্বর’ এলাকা হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বশেষ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালের ১৫ জুন। ওই সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এনামুল হককে সভাপতি ও মইনুদ্দীন মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ছাড়াই ওরা দু’জনেই পার করেন দীর্ঘ সাতটি বছর। প্রায় দু’ বছর আগে নির্ধাতির হয় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির বাকি ৬৯ জন নেতার নাম। ওই সুত্র জানায়, ৯ বছর আগে গঠন হওয়া কমিটির সভাপতি গত সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক বহুদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুপস্থিত। ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী’র মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পর্যটন মটেলে অগ্নি সংযোগ, বহু নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কাটাসহ নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সময় প্রায় দিশেহার দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে এলাকায় পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবগঞ্জ আওয়ামীলীগে এক নেতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের সময় মাত্র তিন/চার বার এলাকায় এসেছিলেন তিনি। ফলে নেতা বিহীন শিবগঞ্জ আওয়ামীলীগে সৃষ্টি হয় হ-য-ব-র-ল অবস্থা’। এদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে সদর আসনের সংসদ সদস্যের অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বের কারণে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডেও নেমে আসে স্থবিরতা। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গঠিত কমিটির ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জনসভার আয়োজন ছাড়া বড় কোন আয়োজন চোখে পড়েনি এই সময়ের মধ্যে।
দলীয় সূত্র জানায়, আভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব ও দলীয় এমপিদের কাছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা প্রায় উপেক্ষিত হওয়ায় সাংগঠনিক অবস্থার অবনতির মুখে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচনের তাগাদা দেয়া হলে নড়েচড়ে উঠে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়েই। এ সময় সম্মেলনে কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটে নেতা নির্বাচন করা হলেও সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচতি হয়েছেন যথাক্রমে আব্দুল ওদুদ ও গোলাম রাব্বানী। গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
এদিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সময়েই কয়েক দফা নির্ধারণ করা হয় জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। নির্ধারিত ওই সময়গুলোই জেলা সম্মেলন আয়োজন করা যায়নি। দলীয় সূত্র জানায়, বারবার তারিখ পরিবর্তন হলেও জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদ দখলে মাঠে কাজ করেছে আত্মীয়তার বন্ধনে বদ্ধ নেতা ও সংসদ সদস্যরা। ওই সূত্র জানায়, বহু বছর ধরে দু’ মেরুতে অবস্থান নেয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডল বিরোধ ঘুচিয়ে জোট বাধেন তার ভাগ্নে সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের সঙ্গে। মইনুদ্দীন মন্ডলের আপন ভাগ্নে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদের আপন চাচাতো ভাই আব্দুল ওদুদ। দলীয় সূত্র জানায়, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামসুল হক। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে জোট করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসানের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এর বাইরে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম দলীয় ফোরামে আলোচিত হচ্ছে তারা হচ্ছেন, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমীন (মইনুদ্দীন মন্ডলের ভতিজা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী। সাধারণ সম্পাদকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছেন ভোলাহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান বেঞ্জু ( এ্যাড. শামসুল হকে ভাতিজা ও রুহুল আমীনের জামাই)।
এ ব্যাপারে সভাপতি পদপ্রার্থী মইনুদ্দীন মন্ডল ও এ্যাড শামসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দু’জনেই সভাপতি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘ তৃণমুলের কাউন্সিলররা আমার পক্ষেই রয়েছেন’।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, ‘ ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দীর্ঘ দিন থেকে আওয়ামীলীগের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। প্রার্থী হিসেবে নিজকে কাউন্সিলরদের কাছে নিজকে উপস্থাপন করেছি। নির্বাচিত হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করবো’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামীলীগ একটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এটি এখনও অটুট রয়েছে। আর আওয়ামীলীগ একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। সম্মেলনে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচিত হবে। আমি সাধারণ সম্পাদক হলে তরুনসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করবো’।
স্বাধীনতার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন বিএনপি জামায়াতের দখলের থাকার পর ৩৫ বছরের মাথায় তিনটি আসনেই চলে আসে আওয়ামীলীগের দখলে। তিন আসনে দলীয় এমপি, গত সরকারে দলীয় প্রতিমন্ত্রী, সেই সঙ্গে যোগ হয় জেলা পরিষদের প্রশসক। দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলাজুড়ে দলীয় নেতাদের এত ক্ষমতার পরও নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হয়নি বরং জামায়াত শিবিরের নাশকতার শিকার হতে হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের এই হতাশার মাঝেই আজ নির্বাচন হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নতুন নেতা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-১২-২০১৪
দলীয় সূত্র জানায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই আওয়ামীলীগের জন্য ‘অনুর্বর’ এলাকা হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বশেষ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালের ১৫ জুন। ওই সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এনামুল হককে সভাপতি ও মইনুদ্দীন মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ছাড়াই ওরা দু’জনেই পার করেন দীর্ঘ সাতটি বছর। প্রায় দু’ বছর আগে নির্ধাতির হয় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির বাকি ৬৯ জন নেতার নাম। ওই সুত্র জানায়, ৯ বছর আগে গঠন হওয়া কমিটির সভাপতি গত সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক বহুদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুপস্থিত। ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী’র মানবতা বিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পর্যটন মটেলে অগ্নি সংযোগ, বহু নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কাটাসহ নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সময় প্রায় দিশেহার দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে এলাকায় পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবগঞ্জ আওয়ামীলীগে এক নেতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের সময় মাত্র তিন/চার বার এলাকায় এসেছিলেন তিনি। ফলে নেতা বিহীন শিবগঞ্জ আওয়ামীলীগে সৃষ্টি হয় হ-য-ব-র-ল অবস্থা’। এদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে সদর আসনের সংসদ সদস্যের অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বের কারণে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডেও নেমে আসে স্থবিরতা। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গঠিত কমিটির ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জনসভার আয়োজন ছাড়া বড় কোন আয়োজন চোখে পড়েনি এই সময়ের মধ্যে।
দলীয় সূত্র জানায়, আভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব ও দলীয় এমপিদের কাছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা প্রায় উপেক্ষিত হওয়ায় সাংগঠনিক অবস্থার অবনতির মুখে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচনের তাগাদা দেয়া হলে নড়েচড়ে উঠে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়েই। এ সময় সম্মেলনে কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটে নেতা নির্বাচন করা হলেও সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচতি হয়েছেন যথাক্রমে আব্দুল ওদুদ ও গোলাম রাব্বানী। গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
এদিকে, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সময়েই কয়েক দফা নির্ধারণ করা হয় জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। নির্ধারিত ওই সময়গুলোই জেলা সম্মেলন আয়োজন করা যায়নি। দলীয় সূত্র জানায়, বারবার তারিখ পরিবর্তন হলেও জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদ দখলে মাঠে কাজ করেছে আত্মীয়তার বন্ধনে বদ্ধ নেতা ও সংসদ সদস্যরা। ওই সূত্র জানায়, বহু বছর ধরে দু’ মেরুতে অবস্থান নেয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দীন মন্ডল বিরোধ ঘুচিয়ে জোট বাধেন তার ভাগ্নে সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদের সঙ্গে। মইনুদ্দীন মন্ডলের আপন ভাগ্নে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদের আপন চাচাতো ভাই আব্দুল ওদুদ। দলীয় সূত্র জানায়, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামসুল হক। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে জোট করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসানের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এর বাইরে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম দলীয় ফোরামে আলোচিত হচ্ছে তারা হচ্ছেন, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমীন (মইনুদ্দীন মন্ডলের ভতিজা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী। সাধারণ সম্পাদকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছেন ভোলাহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান বেঞ্জু ( এ্যাড. শামসুল হকে ভাতিজা ও রুহুল আমীনের জামাই)।
এ ব্যাপারে সভাপতি পদপ্রার্থী মইনুদ্দীন মন্ডল ও এ্যাড শামসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দু’জনেই সভাপতি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘ তৃণমুলের কাউন্সিলররা আমার পক্ষেই রয়েছেন’।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, ‘ ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দীর্ঘ দিন থেকে আওয়ামীলীগের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। প্রার্থী হিসেবে নিজকে কাউন্সিলরদের কাছে নিজকে উপস্থাপন করেছি। নির্বাচিত হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করবো’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামীলীগ একটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এটি এখনও অটুট রয়েছে। আর আওয়ামীলীগ একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। সম্মেলনে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচিত হবে। আমি সাধারণ সম্পাদক হলে তরুনসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করবো’।
স্বাধীনতার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন বিএনপি জামায়াতের দখলের থাকার পর ৩৫ বছরের মাথায় তিনটি আসনেই চলে আসে আওয়ামীলীগের দখলে। তিন আসনে দলীয় এমপি, গত সরকারে দলীয় প্রতিমন্ত্রী, সেই সঙ্গে যোগ হয় জেলা পরিষদের প্রশসক। দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জেলাজুড়ে দলীয় নেতাদের এত ক্ষমতার পরও নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হয়নি বরং জামায়াত শিবিরের নাশকতার শিকার হতে হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের এই হতাশার মাঝেই আজ নির্বাচন হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নতুন নেতা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-১২-২০১৪