উনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক! > অবশেষে জনতার হাতে আটক
দীর্ঘ দিন থেকে দু’বন্ধু কখনও মেজর কখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক সেজে চাকুরী দেয়া ও মোটা অংকের ঋণ দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণ করে আসতে থাকে ভোলাহাট উপজেলার যাদুনগর গ্রামের বাদলুর ছেলে পলাশ (৩০) ও তার বন্ধু একই গ্রামের তাজেলের ছেলে বকুল (৩১)।
ভূক্তভূগিদের অভিযোগে জানা যায়, মোবাইলে প্রতারক বকুল নিজেকে মেজর বাবুল আক্তার পরিচয় দিয়ে পলাশকে দিয়ে সেনাবাহিনীর চাকুরী দেয়ার নামে উপজেলার রাধানগর গ্রামের আব্দুস শুকুরের ছেলে হেলালের নিকট ২ লাখ ৬০ হাজার, বজরাটেক গ্রামের রিয়াজুদ্দিনের ছেলে টনিকের নিকট ৭০ হাজার, বজরাটেক গ্রামের সহিমুদ্দিনের ছেলে হযরত ও মালার নিকট ৮ লাখ ১০ হাজার মোট ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রতারনা করে। পরে চাকুরী না পেয়ে প্রতারনার শিকার ভুক্তভূগিরা দু’প্রতারককে খোজাখোজি করেও না পেয়ে অবশেষে সোমবার দুপুরে গোপন জায়গাতে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ভুক্তভূগিরা পলাশকে আটক করে গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সোর্পদ করে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের আওতার বাইরে হওয়ায় চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভোলাহাট থানা পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশের কাছে ভূয়া মেজরের সহযোগি পলাশকে সোর্পদ করেন বলে তিনি জানান। চাকুরী দেয়ার নামে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রতারনার বিষয়টি স্বীকার করেছে পলাশ বলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপস্থিত ইউপি সদস্য মোত্তালেব, ফারুক, সাইদুল ও জালালউদ্দিন নিশ্চিত করেন তারা। উল্লেখ্য প্রতারক পলাশ ও বকুল প্রায় এক বছর পূর্বে গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাইকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোট অংকের ঋণ পাইয়ে দেয়ার নামে নিজেদের বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক দাবী করে মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা প্রতারনা করে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। আটক পলাশের ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান কউসিক আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পলাশের বাবা বাদলু তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ পাঠিয়ে গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্ধার করে তার বাবার কাছে ছেলে পলাশকে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিজউ/ গোলাম কবির/ ১৭-১১-২০১৪