এবার রাজাকারের তালিকা তৈরী করছে জামায়াত

নিজ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর মামলা চলার পথে এখন রাজাকারের তালিকা তৈরী করতে কাজ শুরু করেছে জামায়াত। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও এই তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলা জামায়াতের আমীর ‘এখনও কিছু বলা যাবে না’ বললেও জামায়াতের একাধিক সূত্র রাজাকারের তালিকা তৈরীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, রাজাকারদের তালিকা তৈরী করতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ডা. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্র অন্যান্য জেলার মত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীরের কাছেও এসেছে। ওই পত্রের আলোকে ইতোমধ্যে তারা কাজও শুরু করেছেন। ওই সূত্র জানায়,  ডা. শফিকুর রহমান ওই পত্রে তালিকা করতে গিয়ে কী কী বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে তার ছয়টি নির্দেশনা দেয়া দেয়া রয়েছে।  প্রথমেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে নিজ নিজ জেলায় সংঘটিত ঘটনাগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ তালিকা প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট জেলায় শান্তি কমিটি বা রাজাকার বাহিনীর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য সদস্যদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ প্রসঙ্গে ওই পত্রে বলা হয়েছে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ অথবা কোনো ব্যক্তি প্রকাশিত জেলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত বইগুলো থেকে।
জামায়াত সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নিদের্শনা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলায় সংগঠনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কাজ করছেন। এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বেশি কিছু মন্তব্য না করতে চেয়ে বলেন,  ‘এই তালিকা তৈরির বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না’।
এদিকে, রাজাকারদের তালিকা তৈরীতে জামায়াতের মাঠে নামা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দ্যা রিপোর্ট২৪ ডটকম ও দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হবার পর জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। নতুন করে আলোচনা করা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার গণহত্যার পেছনে থাকা রাজাকারদের নাম।