সোনামসজিদ স্থলবন্দরে এবোলা ভাইরাসের অনুপ্রবেশ রোধে সর্বোচ্চ সতকর্তা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রাণঘাতি এবোলা ভাইরাস অনুপ্রবেশ রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারী করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রমাগত ও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি এবোলা ভাইরাসের অনুপ্রবেশরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতকর্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে আসা কোনো যাত্রীর মাধ্যমে যাতে এবোলা ভাইরাস কোনোভাবেই বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখছেন সোনামসজিদ চেক পোষ্টের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ১ মাসেরও অধিক সময় ধরে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কাজ করেছে ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম। পালাক্রমে দায়িত্বপালন করে ভারত থেকে আসা প্রতিটি যাত্রীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পর তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। ভারতের মাটিতে ভয়ানক সংক্রামক ও ছোঁয়াচে এবোলা ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ। এঅবস্থায় বাংলাদেশ সরকারও এবোলার অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ও সতর্কতা বাড়াচ্ছে। অতিব জরুরি হিসেবে গুরুত্বপূর্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এবোলা ভাইরাস বহনকারী কোনো রোগী যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সর্তক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা কোনো যাত্রীর শারিরিক লক্ষন, যেমন সর্দি-কাশি, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে বা দৃশ্যমান কোন লক্ষনধারী যাত্রীদের বাংলাদেশে কোনভাবেই প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমান জানান, ভাইরাস বহনকারী কেউ যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারা। এ জন্য ডা. কুশল কুমার বান্ধা’র নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম একমাস ধরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বিশেষ পোশাক (পি.পি.ই) পরে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। ভারতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে আসা কোন যাত্রীর দেহে সন্দেহজনক কোন লক্ষন পাওয়া যায়নি ও আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা কোনো ব্যক্তি এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেননি।