মেয়র যখন ট্রাফিক


জামাকাপড় আর জুতোয় পুরোদস্তুর একজন ভদ্রলোক যানজট নিরসনে চেষ্টা চালাচ্ছেন। সিএনজি অটোরিকশাকে একদিকে যেতে বলছেন, তো রিকশাওয়ালাকে বলছেন মোড় ঘোরাতে। ঘেমেটেমে একাকার তিনি। তবুও কী নিরন্তর চেষ্টা। যানজট কমলেই চলে যান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার সড়ক বাজারে এমন দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। আর যানজট নিরসনের চেষ্টারত ওই ব্যক্তিটি আর কেউ নন, তিনি আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল। যানজট নিরসনে তাঁর এ চেষ্টা নিত্যদিনের।
অবশ্য মঙ্গলবার এ চেষ্টায় যেন একটু ভিন্ন মাত্রা পায়! কেননা, এ যাত্রায় যোগ দেন মেয়রপত্নী শাহীন আক্তার। সকালে আখাউড়া-ধরখার সড়কের পৌর এলাকার ঘোষপাড়া মোড়ে যানজট লেগে গেলে তা নিরসনে মেয়রের সঙ্গে যোগ দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার সড়ক বাজারের মায়াবী সিনেমা হল থেকে মোটরস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যানজট তীব্র হয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে দুজন ট্রাফিক নিয়োজিত করা হলেও এতে কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং দায়িত্বরতরাই টাকার বিনিময়ে সড়কের পাশে অটোরিকশা দাঁড়াতে দিয়ে যানজট বাড়ায় বলে অভিযোগ আছে। এ অবস্থায় পৌর মেয়র রাধানগরের বাড়ি থেকে সড়ক বাজারে পৌর কার্যালয়ে আসার সময় প্রায় প্রতিদিনই যানজট নিরসনে নিজেই কাজ করেন।
সড়ক বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, 'মেয়র নিজে দাঁড়িয়ে যেভাবে যানজট নিরসনের চেষ্টা করেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু এর একটা ভালো সমাধান প্রয়োজন। মূলত ট্রাফিকরাই যানজটের জন্য অনেকাংশে দায়ী।'
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, 'যানজট সড়ক বাজারের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায় সে ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করছি। বর্তমানে দায়িত্বরত ট্রাফিকদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'