র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন মামলা থেকে মুক্তি পেল


র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠির রাজাপুরের লিমন হোসেন বৃহস্পতিবার সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। ঝালকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু শামীম আজাদ এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে লিমন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালে ২৯ জুলাই ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ আদালত থেকে লিমনকে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।
লিমনের আইনজীবী আক্কাস সিকদার জানান, আদালত ৫৯৪ ধারা অনুযায়ি লিমনকে এই মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে । তিনি আরো জানান, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রীয় বাহিনী র‌্যাব লিমনকে গুলি করে। এঘটনা র‌্যাব বাদী হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে। ২০১৩ সালের ০৭ জুলাই সরকার লিমনের নামের দুটি মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে ২৯ জুলাই ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ আদালত থেকে লিমনকে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। ওই দিনই চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড  আদালত থেকে সরকারি কাজে বাঁধাদানের মামলা থেকে লিমনকে অব্যহতি দেবার প্রার্থনা করেছিল সরকার পক্ষের আইনজীবী। কিন্তু ওই আদালতের বিচারকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় লিমন অব্যহতি পায়নি।
মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার পরে লিমন হোসেন বলেন, শুরু থেকে বলে আসছি আমি নির্দোশ। আদালতের রায়ের মাধ্যমে আজ তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, আমার নির্দোষ ছেলেকে র‌্যাব গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমি দোষী র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমরা পুরোপুরি খুশী হব তখন যখন দোষী র‌্যাব সদস্যদের বিচার হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ র‌্যাবের কথিত বন্ধুক যুদ্ধে রাজাপুরের কলেজ ছাত্র লিমন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার পর বরিশালে র‌্যাব-৮-এর তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) লুৎফর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে লিমনসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।