রেকর্ড পরিমাণ গুলি বর্ষণ > শিবগঞ্জে জামায়াত-শিবির ও পুলিশ-বিজিবি সংঘর্ষে ৩০ আহত

জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর রায় ঘোষণাকে ঘিরে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জামায়াত- শিবিরের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবি’র সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা এই সংঘর্ষে জামায়াত শিবির ৩০ টির মত ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটালে জবাবে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা রেকর্ড পরিমাণ গুলি বর্ষণ করেছে। এতে ৭ পুলিশ-বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা শিবগঞ্জ বাজারে মিছিল শেষে ইসলামী ব্যাংকের সামনে সমাবেশ করার সময় পুলিশী বাধার মুখে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। জামায়াত শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ প্রায় ৩০টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনালে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা শর্টগান ও রাইফেলের গুলি করে। এতে বোমার আঘাতে বিজিবি সদস্য নাজমুল ও আহসান, বিজিবির গুলিতে বাদাম বিক্রেতা দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনিরুল চৌকিদারের ছেলে সাদিকুলসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। আহতদের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকা জনক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ প্রায় ১৫০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও বিজিবি ১ শ রাউন্ড রাইফেলের গুলি করে। এসময় ১০ জামায়াত শিবির কর্মীকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মর্হুতেরে মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। জামায়াত শিবিরের একের পর এক ককটেল বিষ্ফোরণ আর পুলিশ বিজিবি’র গুলি বর্ষণ গোটা শিবগঞ্জ বাজার আত্মংকের শহরে পরিণত হয়। লোকজন শূণ্য হয়ে পড়ে।
এদিকে, বেলা ১২টার দিকে ভোলাহাটের মেডিক্যাল মোড়ে শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করা উদ্যোগ নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে তিন শিবির কর্মী আহত হয়।
অন্যদিকে, জেলা শহরে জামায়াত শিবির কর্মীরা বাতেনখার মোড় এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশী বাধার মূখে পড়ে প্রফেসর পাড়ার দিকে চলে যায়।