আদিবাসী নেত্রী বিচিত্রা তির্কিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে দিল ককাস

আদিবাসী নেত্রী ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিচিত্রা তির্কিকে বাড়ি পৌঁছে দিল আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস। রবিবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি গোমসত্মাপুর উপজেলার ঝিনাইপুর গ্রামে তাকে পৌঁছে দেয়া হয়।
ককাসের আহবায় ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে ককাসের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকাল সাড়ে ১০ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিচিত্রা তির্কিকে নিয়ে হাসপাতালের সম্মেলন কড়্গে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি দল । এ সময় ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, বিচিত্রা তির্কির যে সম্পত্তি ভোগদখল কছেন তাতে যাদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে আদালতে যেতে পারেন। আদালতের রায়ের আগে যাদি কেউ সেই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে তাহলে প্রশাসন তা কঠোর হসেত্ম দমন করবে। তিনি আরো বলেন, এই বিষয়টি এখানেই সীমাবদ্ধ থাকবেনা। এটা সংসদে উত্থাপন করে অপরাধীদের বিচার দাবি করা হবে।  অপরাধী, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় নেই। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে শাসিত্ম পেতেই হবে। বাদশা বলেন, আদিবাসীরা এদেশেরই সনত্মান। তারাও মুক্তিযুদ্ধে ভ'মিকা রেখেছেন এবং বাংলাদেশের সংবিধানে তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কাজেই তাদেরকে বাস'হারা করা সংবিধান বিরোধী কাজ। বিচিত্রা তির্কি এখনও পুরোপুরি সুস' হতে পারেননি। প্রয়োজনে তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।
প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ককাসের টেকনিক্যাল কমিটির সমন্বয়ক মেসবা কামাল, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক, হাজেরা সুলতানা এমপি, পঞ্চগড়-১ আসনের এমপি নাজমুল হক প্রধান, ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনের এমপি ইয়াসিন আলী, ককাসের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র সরেন, মানুষের জন্য করির পরিচালক বীনা রায়। এ সময় উপসি'ত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির ও পুলিশ সুপার বশির আহমেদ।
উলেস্নখ্য, গত ৪ আগস্ট গোমসত্মাপুর উপজেলার ঝিনাইপুর গ্রামে জমিতে কাজ করার সময় হামলা চালায় ভ'মিদস্যুরা। হামলায় বিচিত্রা তির্কি আহত হন। এরপর থেকে প্রায় ১ মাস সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ১৮ জনের নাম উলেস্নখসহ ৩৩ জনের বিরম্নদ্ধে মামলা হলেও প্রধান আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে আমাদের গোমসত্মাপুর প্রতিনিধি আব্দুস সালাম তালুকদার জানান, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস’র প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশে যোগদান করেন। সংহতি সমাবেশে ককাস নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিচিত্রা তির্কিও বক্তব্য রাখেন এবং হামলার ঘটনা তুলে ধরেন।
সমাবেশ থেকেও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।